মাউন্ট আগুং নামের ওই আগ্নেয়গিরিটি থেকে যে কোনো সময় উদগিরণ হতে পারে বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মাউন্ট আগুংয়ের আশপাশের এলাকাগুলোতে শত শতবার কম্পন অনুভুত হয়েছ এবং পর্বতটির পৃষ্ঠে উদগীর্ণ লাভার নজির দেখা গেছে।
শুক্রবার কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে পর্বতটির চারপাশে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানুষের অবস্থান, প্রবেশ ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করেছে।
বালির প্রধান পর্যটন এলাকা ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ভলকানোলোজি সেন্টার জানিয়েছে, রোববার রাতে পর্বতটির ‘কম্পন শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এতে উদগিরণের সম্ভাবনাও বেড়ে গেছে’।
এর কয়েকদিনের মধ্যেই আগ্নেয়গিরিটিতে বাড়তে থাকা তৎপরতা লক্ষ্য করে কর্তৃপক্ষ সতর্কতার মাত্রা আরো বৃদ্ধি করে পর্বতটির চারপাশের গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে শুরু করে। এরপর সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নিত করা হয়।
বালির হাজার হাজার বাসিন্দা এখন টাউন হল, স্কুল ও স্টেডিয়ামে তৈরি করা অস্থায়ী শরণার্থী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে আছে। কোনো কোনো জায়গায় গবাদিপশুর জন্যও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাকার্তা পোস্ট।
গ্রামবাসীরা দিনের বেলা তাদের বাড়িতে গিয়ে সবকিছু দেখে আসে এবং কিছু কিছু কাজও করে আসে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বালি দ্বীপের পূর্বাংশের মাউন্ট আগুং সাগরপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উঁচু। বালির প্রধান পর্যটন এলাকা কুটা ও সেমিনায়ক থেকে পর্বতটি প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।