তারা আর বেশিদিন টিকবে না: ট্রাম্পের পাল্টা হুমকি উ. কোরিয়াকে

উত্তর কোরিয়া সরকার আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হুমকি পাল্টা হুমকি চলছে।

জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো এর রকেট ছোড়ার হুমকির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হো দুইজনকেই পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছেন, তারা ‘আর বেশি দিন টিকবে না’।

ট্রাম্প-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে চলমান এ কথার লড়াইয়ে কোরীয় উপদ্বীপ পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নিচ্ছে।

শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘শয়তান প্রেসিডেন্ট’ ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের নেতাকে ‘আত্মঘাতী মিশনের থাকা রকেট মানব’বলার পর অনিবার্যভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখণ্ড তাদের রকেটের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হবে।

জবাবে শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, “জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনেছি। তিনি ‘লিটল রকেটম্যান’ -এর চিন্তাভাবনাই প্রতিধ্বনিত করতে চেয়ে থাকলে আর বেশিদিন টিকতে হবে না উত্তর কোরিয়াকে।”

এতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে পক্ষ দুটির মধ্যে চলমান উত্তপ্ত বাদানুবাদ আরেও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাধারণ পরিষদে রি-র ভাষণের কয়েক ঘন্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বি-১বি ল্যান্সার বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের আন্তর্জাতিক আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে যে অনেক সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে, তা দেখানোর জন্যই এই শক্তি প্রদর্শন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, উভয় পক্ষের মধ্যে বিদ্বেষমূলক মনোভাব যেভাবে বাড়ছে তাতে একজনের ভুল পদক্ষেপ গ্রহণের ঝুঁকির পাশপাশি অন্যজন বড় ধরনের আনাকাঙ্খিত পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, রোববার পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সাং স্কায়ারে কয়েক হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর খবর অনুযায়ী, ওই মিছিলে প্রায় এক লাখ ‍মানুষ অংশ নিয়েছে এবং গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিমের বক্তব্যের সমর্থন জানিয়ে স্লোগান দিয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া রেড গার্ডের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা শয়তানের রাজত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামার এবং তাদেরকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়ার সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছি।”

“যখনই আমাদের সম্মানিত সুপ্রিম কমান্ডার কিম জং উন নির্দেশ দেবেন, আমরা আগ্রাসীদের দলকে ধ্বংস করে ফেলব।”