‘জয় নাগালের মধ্যে’ বলে দাবি সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জয় সরকারের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে বলে দাবি করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

>>রয়টার্স
Published : 24 Sept 2017, 07:18 AM
Updated : 24 Sept 2017, 07:18 AM

শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ওয়ালিদ আল মুয়ালেম এ দাবি করেন। 

ভাষণে তিনি বলেন, “আলেপ্পো ও পালমিরার মুক্তি, দেইর এজ্জরের অবরোধ তুলে নেওয়া এবং সিরিয়ার বিভিন্ন অংশ থেকে সন্ত্রাসবাদের উৎপাটনই প্রমাণ যে জয় নাগালের মধ্যে চলে এসেছে।”

তিনি জানান, দেশটির ডি-এস্কেলেশন জোনগুলো লড়াই প্রশমণে সহায়তা করবে বলে দামেস্ক আশা করছে । 

রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় কয়েকমাস ধরে পৃথকভাবে আলোচনা করে সিরিয়াজুড়ে ডি-এস্কেলেশন জোন প্রতিষ্ঠা করে সহিংসতা হ্রাস করার চেষ্টা করে আসছে। যদিও এসব আলোচনাগুলোতে ছয় বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি কোনো রাজনৈতিক সমাধানের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে না।  

ভাষণে মুয়ালেম সিরিয়ার বিষয়ে রাশিয়া ও ইরানের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। এই দুটি দেশ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

ডি-এস্কেলেশন জোন প্রতিষ্ঠায় সিরিয়া অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং আশা করে এগুলো ‘চূড়ান্তভাবে সহিংসতা হ্রাস করার’ দিকে নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

মুয়ালেম বলেন, “তবুও অন্য দলগুলোর যেকোনো ধরনের লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে সিরিয়া। সিরিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছে, এই জোনগুলো অস্থায়ী এবং এগুলো অবশ্যই সিরিয়ার ভূখণ্ডগত ঐক্য লঙ্ঘন করবে না।” 

চলতি মাসের প্রথম দিকে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে একটি ‘ডি-এস্কেলেশন’ জোনের প্রান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের বিষয়ে সম্মত হয়। ইদলিবের বেশিরভাগ এলাকাই ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

বিস্তৃত একটি চুক্তির অধীনে সিরিয়ায় চারটি এ ধরনের জোন স্থাপন করেছে ওই দেশগুলো। ডি-এস্কেলেশন পরিকল্পনা পশ্চিম সিরিয়ায় আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর লড়াইয়ের তীব্রতা হ্রাসে সহায়তা করেছে।

এরপর থেকে আসাদের অনুগত বাহিনী বিদ্রোহীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সফলতা পেয়েছে; এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের, তুরস্কের ও উপসাগরীয় বাদশা শাসিত রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন পাওয়া কিছু গোষ্ঠীও আছে।

সমালোচকরা বলছেন, বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে কয়েক বছর ধরে লড়াই চলার পর ডি-এস্কেলেশন পরিকল্পনা সিরিয়াকে কার্যত বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে ফেলেছে। তবে মস্কো, তেহরান ও আঙ্কারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, অস্থায়ীভাবে এসব জোনা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তবে প্রাথমিকভাবে ছয় মাস মেয়াদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হলেও প্রয়োজনে সময় বাড়ানো যাবে।