স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার আগে ওয়েস্টফিল্ডের অপর পাশে স্ট্রাটফোর্ড সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মারাত্মক শারীরিক জখম করার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুরুষদের একটি দল লোকজনের ওপর ক্ষতিকর পদার্থ স্প্রে করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়।
ঘটনাটি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যারা আহত হয়েছেন বলে খবর হয়েছে তারা সবাই পৃথক অবস্থানে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পল গিবসন জানান, ছয়জনকে ঘ্টনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের কারো আঘাতই প্রাণঘাতী বা জীবন পাল্টে যাওয়ার মতো গুরুতর নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোসেন নামের বার্গার কিংয়ের একজন সহকারী ব্যবস্থাপক জানান, এক ব্যক্তি ‘মুখের এসিড ধুঁয়ে ফেলতে’ ফাস্ট ফুডের দোকানটিতে দৌঁড়ে প্রবেশ করেন।
“তার চোখের চারপাশটা কাটা ছিল এবং কাটা জায়গাটা পানি দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করছিল সে,” বলেন তিনি।
ওই বিপনীবিতানের বিপরীত পাশের ভবনগুলোর একটিতে বাস করেন তাহসিন তাজ, হৈ চৈ-য়ে বিরক্ত হয়ে কী ঘটেছে দেখতে উঁকি দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, “পৌনে ৯টার দিক থেকেই আমি অনেক অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ির শব্দ পাই। কিন্তু এদিন ওয়েস্ট হ্যামের ম্যাচ থাকায় আমি ভেবেছিলাম, এটা ফুটবল নিয়ে কোনো ঝগড়া।
“কিন্তু কিছু সময় পরেও শব্দ শুধু বাড়তেই থাকে। পরে দেখি সেখানে অনেক দমকলের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশ। সত্যি বলতে বেশ বিশৃঙ্খল অবস্থা। এ সময় আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম।”