শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিন, ওহাইও, ক্যালিফোর্নিয়াসহ আরো ১০ অঙ্গরাজ্য জানিয়েছে তারা লক্ষ্যস্থল হওয়া ওই অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে ছিল।
রুশ হ্যাকারদের তৎপরতার বিষয়ে ওই রাজ্যগুলোকে তারা সতর্ক করেছিল বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট, কিন্তু রাজ্যগুলোর নাম জানাতে অস্বীকার করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া; অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের আঁতাতের কথা অস্বীকার করেছেন।
উল্লিখিত অঙ্গরাজ্যগুলোর পাশপাশি আলাবামা, আলাস্কা, কলোরাডো, কনেকটিকাট, ফ্লোরিডা, টেক্সাস ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যও রাশিয়ার হ্যাকারদের লক্ষ্য হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে, তবে হ্যাকাররা সফল হয়নি বলে দাবি করেছে।
গত বছর হ্যাকারদের লক্ষ্য হওয়ার কথা অ্যারিজোনা ও ইলেনয়ও নিশ্চিত করেছে।
আইওয়া, মেরিল্যান্ড, নর্থ ডাকোটা, পেনসিলভ্যানিয়া, ডেলাওয়্যার, ওরেগন, ওকলাহোমা ও ভার্জিনিয়াও হ্যাকারদের লক্ষ্যস্থল হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। সব মিলিয়ে হ্যাকারদের লক্ষ্যস্থল হওয়া মোট ২১টি অঙ্গরাজ্যই শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে টেক্সট বার্তা পাঠানো হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্টেট ইলেকশন ডিরেক্টরস এর সভাপতি জাড চোয়িট বলেছেন, “রুশরা কোনো একটি ভোট উল্টে দিয়েছে বা রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করেছে এ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই অঙ্গরাজ্যগুলোর অধিকাংশই হ্যাকারদের প্রাথমিক তৎপরতা অবলোকন করেছে এবং তাদের সাইবার হামলায় অল্প সংখ্যক নেটওয়ার্ক আক্রান্ত হয়েছে। জুনে কিছু অঙ্গরাজ্য অভিযোগ করে বলেছে, তাদের সিস্টেমে রুশরা ঢোকার চেষ্টা করেছে এমন কোনো কিছু তারা জানতো না।
ট্রাম্পকে জয়ী করতে ক্রেমলিন হ্যাকিং ও অনলাইন প্রপাগান্ডা অভিযান পরিচালনা করেছিল বলে সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর, অগাস্টে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছিল রয়টার্স।