কর্মকর্তারা লোকজনকে মাউন্ট আগুং থেকে অন্তত নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে ওই এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেকগুলো কম্পনের খবর পাওয়া গেছে এবং লাভা বাইরে বের হয়ে আসছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
১৯৬৩ সালে মাউন্ট আগুংয়ের সর্বশেষ উদগিরণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা সুতোপো পুরবো নাগরোহো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকার মধ্যে মানুষের কোনো তৎপরতা থাকা চলবে না।”
সতর্কতার মাত্রা বাড়ানোর কয়েক ঘন্টা পর থেকে টানা কম্পন চলছে বলে শনিবার দিনের প্রথম দিকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ইন্দোনেশিয়ার ভলকানো অবজারভেটরি ফর অ্যাভিয়েশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে নির্ভুলভাবে উদগিরণের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে তারা।
এরপরও বালির ডেনপাসারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেন।
মাউন্ট আগুং বালির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আগ্নেয় এ পর্বতটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচুঁ। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে এটি অন্যতম।