ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তিন মাস অন্তর এসব ব্যাংক হিসাবধারীর অভিবাসন তথ্য যাচাই করবে। অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাংক হিসাব বন্ধ বা স্থগিত করা হবে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধারণা এই প্রক্রিয়ায় প্রথম বছরেই ছয় হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ধরতে পারবেন তারা। ভিসার মেয়াদ শেষে অবস্থান, আশ্রয় চেয়ে বিফল এবং অপরাধের কারণে নিজের দেশে পাঠানোর আদেশ হওয়া ব্যক্তিদের মিলিয়ে এই সংখ্যা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ থাকা ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হলে তা ওই অ্যাকাউন্টধারীদের অর্থ বাঁচাতে স্বেচ্ছায় যুক্তরাজ্য ছাড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে।
এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়ে অভিবাসীদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক রেকর্ড এই ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দেয় না এবং এতে ভুলের কারণে বৈধ অভিবাসীরাও হয়রানির মুখে পড়বেন।
এ বিষয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব ইমিগ্রেন্টসের প্রধান নির্বাহী সাতবীর সিং বলেন, “ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস খুব জটিল বিষয় এবং হোম অফিস ধারাবাহিকভাবে ভুল তথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে আসছে।
“নতুন এই পরীক্ষা চালু হলে অভিবাসী ও সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর সদস্য যাদের এখানে থাকার সব অধিকার রয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
যুক্তরাজ্যে কেউ একটি নতুন ব্যাংক বা বিল্ডিং সোসাইটি অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট, ২০১৪ এর আওতায় তার অভিবাসন তথ্য যাচাই করা হয়। তার আগে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই হত না।
নতুন আইনে ব্যাংকগুলোকে প্রতিটি চলতি হিসাবধারীর পরিচয় খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে সিফাস নামে একটি সংস্থার হাতে থাকা নাগরিকদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যভাণ্ডারে যেতে হবে তাদের।
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবস্থানের জন্য নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়া, আশ্রয় চেয়ে বিফল হওয়া এবং ইমিগ্রেশনের বন্দিশালা থেকে পলাতকদেরও বিস্তারিত তথ্য থাকবে এই তথ্যভাণ্ডারে।