জেনেভায় জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে বুধবার একথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হান তায়ে সং।
নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ওই জাতিসংঘ কমিটি উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেশটিতে বাধ্যতামূলক শিশুশ্রম, শিশু যৌন নিপীড়নসহ শিশু পাচারের অভিযোগ করেছে। তাছাড়া, শিশুদের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বাজেট এবং ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কমিটি অভিযোগ করেছে।
তবে এসব অভিযোগ ‘কল্পিত ধারণা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হান।
তিনি বলেন, ২ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশ উত্তর কোরিয়া একটি জনকেন্দ্রীক- সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র... যেখানে শিশুদের কল্যাণ ও অধিকার সমুন্নত রাখা এবং তা রক্ষা করে চলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়...অগ্রগতির সুযোগও এখানে রয়েছে।”
“কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে শিশুদের জন্য পুষ্টিকর পণ্য উৎপাদন এবং টেক্সটবুক সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।”
হান আরও বলেন, “ডিপিআরকে’র (উত্তর কোরিয়া) ওপর লাগাতার এই অমানবিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞার ফলে কেবল শিশুদের অধিকার রক্ষার চেষ্টাই ব্যাহত হচ্ছে না বরং তাদের বেঁচে থাকার অধিকারও মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।”
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সেই ২০০৬ সাল থেকে একতরফাভাবে দেশটির ওপর ৯ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া এ মাসের শুরুর দিকে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দেশটিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে জ্বালানি সরবরাহের ওপর পুরোদস্তুর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।