বিবিসি জানায়, শিশুটির সদ্যোজাত কন্যার সঙ্গে প্রথমে গ্রেপ্তার হওয়া চাচার ডিএনএ না মেলায় এ মামলা নতুন মোড় নেয়। আটক প্রথম ব্যক্তি এখনও কারাগারে আছেন।
গত জুলাইয়ে ভারতের চণ্ডীগড়ে ১০ বছরের একটি শিশু সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ার পর জানা যায়, শিশুটিকে গত সাত মাস ধরে তার এক চাচা ধর্ষণ করেছে।
শিশুটির পরিবার আদালতের কাছে গর্ভপাতের অনুমতি চাইলে প্রাণের ঝুঁকি বিবেচনায় ওই আবেদন বাতিল করা হয়।
শিশুটি ও তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে ৪০ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করে, যিনি সম্পর্কে শিশুটির চাচা।
গত মাসে চণ্ডীগড়ের একটি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় শিশুটি।
কিন্তু ফরেনসিক টেস্টে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির ডিএনএ না মেলায় পুলিশ নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করে। যদিও ওই ব্যক্তি এখনও অভিযোগ অস্বীকার করেননি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক হয় ৩৮ বছর বয়সী দ্বিতীয় চাচা। প্রথম ও দ্বিতীয় দুই চাচাই শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করেছে।
পুলিশ ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলার সময় শিশুটি দ্বিতীয়জনের নাম বলে।
চণ্ডীগড় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিলাম্বরী বিজয় বিবিসি কে বলেন, “শিশুটি বলেছে, তার ৩৮ বছর বয়সী ওই চাচাও তাকে যৌন নির্যাতন করেছে।”
আটক দ্বিতীয় ব্যক্তির ফরেনসিক টেস্টের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।