বিবিসি জানায়, বুধবার কাতালোনিয়া স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের ১৪ কর্মকর্তাকে আটক করেছে দেশটির গার্ডিয়া সিভিল পুলিশ।
স্বাধীনতা প্রশ্নে নিষিদ্ধ ঘোষিত গণভোট আয়োজনে ভূমিকা রাখার কারণে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় অবস্থিত স্থানীয় সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে।
গণভোট আয়োজনে কাতালান পার্লামেন্ট যে আইন করেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর স্পেনের সাংবিধানিক আদালত তা স্থগিত ঘোষণা করে।
সম্পদশালী কাতালোনিয়ার স্বায়ত্বশাসন আছে; যদিও এর সরকার বলছে, জনগণ স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা চায়।
গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় এলে কোন আইনি প্রক্রিয়ায় সেটি বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে একটি আইনি অবকাঠামো অনুমোদন করেছে কাতালান পার্লামেন্ট।
স্পেনিশ প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়ের অনুরোধে আদালত কাতালান পার্লামেন্টে অনুমোদিত ওই আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। তা সত্ত্বেও ১ অক্টোবর যথাসময়ে গণভোট করার কথা বলছেন কাতালান নেতারা।
গণভোট অনুষ্ঠানে কাতালান পার্লামেন্টের করা আইন ‘মেনে নেওয়া যায় না এমন অবাধ্য কাজ’ হিসেবেও অভিহিত করে রাজয় বলেন, সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হচ্ছে।
ওদিকে, মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠকে কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইজদেমন্ত মাদ্রিদ সরকারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক স্বায়ত্ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বরে কাতালোনিয়ায় স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেবার কত শতাংশ ভোট স্বাধীনতার পক্ষে পড়েছিল সেটি স্পষ্ট করে প্রকাশ করা হয়নি।
গণভোটে এবার যদি ‘হ্যাঁ’ জেতে তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাধীনতা ঘোষণার পরিকল্পনা করেছেন কাতালান নেতারা।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী রাজয় বলেন, গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে কাতালান আঞ্চলিক সরকার স্পেনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে।
“এখানকার লোকজন যে পরিকল্পনা করছে তা বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশই মেনে নেবে না।”
তিনি কাতালান প্রেসেডেন্টকে আইন মেনে চলার অনুরোধ করেছেন।