মঙ্গলবার সারারাত ধরে মুষলধারার বৃষ্টিপাতের পর শহরটির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে এবং রেল, সড়ক ও বিমান যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর, তবে সবচেয়ে ‘খারাপ অবস্থা পার হয়ে গেছে’ বলে জানিয়েছে।
বুধবার শহরটির সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, “(ভারি বৃষ্টিপাতের) সতর্কতা আমরা সরিয়ে নিয়েছি, আগামী ৪৮ ঘন্টায় শহর ও শহরতলীতে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হতে পারে।”
মুম্বাই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটেছে। বিমানবন্দরের মূল রানওয়ে সচল না হওয়ায় মোট ৫৬টি ফ্লাইটকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টিতে শহরটির ব্যাপক ব্যবহৃত লোকাল ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক রেল কর্মকর্তা। অপরদিকে শহরের বেশ কিছু সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় অন্যান্য যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে দূরপাল্লার ট্রেনগুলো ছেড়ে যেতে না পারায় কম্যুটার ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে থাকে। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সকালে দূরপাল্লার ট্রেনগুলো একে একে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের পাঁচটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। অন্যগুলো সীমিত গতিতে চলাচল করছে বলে জানা গেছে।
ভাসাই ও ভিরার এলাকার মধ্যবর্তী লাইনগুলো পানিতে তলিয়ে আছে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় মুম্বাইয়ে ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে শহরতলীতে ৩০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার ১২টা ৩ মিনিটে প্রায় পাঁচ মিটার উঁচু জোয়ারের পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের পর এক টুইটে মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী বুধবার শহরের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
প্রবল বাতাস, স্বল্প দৃষ্টিগ্রাহ্যতা ও পিচ্ছিলতার কারণে মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই বিমানবন্দরে নামার সময় স্পেসজেটের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে ছিটকে ঘাসের মধ্যে চলে যায়। বেনারস থেকে ফেরা ফ্লাইটটির ১৮৩ জন যাত্রীর সবাই নিরাপদ আছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এয়ারলাইনটি।
এ ঘটনায় বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামায় আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।