সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলায় জিহাদিরা

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে কট্টরপন্থি বিদ্রোহীরা।

>>রয়টার্স
Published : 19 Sept 2017, 10:07 AM
Updated : 19 Sept 2017, 10:07 AM

হামা শহরের উত্তর দিক থেকে শুরু করা মঙ্গলবারের হামলাটি মার্চের পর এই এলাকায় চালানো সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর পরিচালিত গণমাধ্যম।

এই হামলায় জিহাদি গোষ্ঠীগুলো নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী অবজারভেটরি জানিয়েছে, সরকার-নিয়ন্ত্রিত গ্রামগুলোতে সুপরিকল্পিত ওই হামলাগুলোতে নুসরা ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর জোট তাহরির আল শামসহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী অংশ নিচ্ছে।

হিজবুল্লাহর পরিচালিত সামরিক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, নুসরা ফ্রন্ট ও মিত্র ছোট ছোট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও মিত্র বাহিনীগুলো তা প্রতিরোধ করছে। 

অবজারভেটরি জানিয়েছে, যুদ্ধ বিমানগুলো ওই এলাকায় হামলা চালাচ্ছে এবং দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সরকারি বাহিনীর অবস্থানগুলোর ওপর বিদ্রোহীরা ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছে তারা।

অবজারভেটরি আরো জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির হয়ে লড়াই করা একটি গোষ্ঠীও রয়েছে।

সিরীয় সেনাবাহিনী ও এর মিত্র বাহিনীগুলো এপ্রিলে হামা প্রদেশ পুনরুদ্ধারের আগে বিদ্রোহীরা সরকার-নিয়ন্ত্রিত হামা শহরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল।  

হামার উত্তরাঞ্চল বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের লাগোয়া; আর ইদলিবের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণে আছে নুসরা ফ্রন্ট।

রাশিয়ার কূটনৈতিক উদ্যোগে সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের যুদ্ধবিরতি বিরাজ করছিল। সেই সুযোগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও এর মিত্র বাহিনীগুলো পূর্ব দিকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পাচ্ছিল। সেখানে দেইর আল জোরে আইএসের সঙ্গে যখন সরকারি বাহিনীগুলো যুদ্ধরত তখনই পশ্চিমে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলা শুরু করেছে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো।

গত সপ্তাহে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় ইদলিব অঞ্চলের প্রান্তে ‘যুদ্ধের তীব্রতা হ্রাস অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয় রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক। কিন্তু কাজাখস্তানের ওই যুদ্ধবিরতির আলোচনার নিন্দা জানিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানিয়েছিল নুসরা ফ্রন্ট।