কিউবা দূতাবাস বন্ধের কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক মিশনের কর্মীরা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ার কথা জানানোর পর কিউবায় নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2017, 05:14 AM
Updated : 18 Sept 2017, 05:27 AM

কূটনৈতিক কর্মীদের ওই স্বাস্থ্যগত সমস্যার জন্য ওয়াশিংটন ‘সনিক অ্যাটাক’কে দায়ী করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, হাভানার মিশন বন্ধ করে দেওয়া হবে কি না তা ‘বিবেচনা করে’ দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাভানা মিশনের ২০ জনেরও বেশি কর্মী মস্তিষ্কে সামান্য ক্ষতিসহ কানে না শোনা, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাবের মতো সমস্যায় ভুগছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ধারণা, তাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য খারাপ করে দিতে কোনো এক ধরনের সাউন্ড ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ ধরনের কোনো বিষয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিউবা।

কিউবার সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকা কানাডার অন্তত দুইজন কর্মীও একই ধরনের লক্ষণের শিকার হয়েছেন।   

ঘটনাটিকে ‘গুরুতর বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এফবিআই, কানাডার পুলিশ ও কিউবার কর্তৃপক্ষের তদন্ত সত্বেও ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া এসব ঘটনার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার পেছনে কিউবার কোনো হাত নেই বলে হাভানায় নিযুক্ত মার্কিন মিশনের চার্জ দ্য আফেয়ার্সকে ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো।

কয়েকদশক ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকার পর ২০১৫ সালে ফের হাভানায় দূতাবাস চালু করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ২০১৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবা সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামার কিউবা পলিসির কয়েকটি অংশ গুটিয়ে নিলেও হাভানার দূতাবাস বন্ধ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।