যুক্তরাষ্ট্রে আরমার তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩

হারিকেন আরমার তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দ্বীপগুলোর বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা।  

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2017, 06:51 AM
Updated : 13 Sept 2017, 06:51 AM

মঙ্গলবার পর্যন্ত ঝড়টির প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলাইনায় অঙ্গরাজ্যে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে সৃষ্ট এ ভয়াবহ ঝড়ের তাণ্ডবে ‘ফ্লোরিডা কি’ নামে পরিচিত দ্বীপগুলোর অন্তত ২৫ শতাংশ বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, ৬৫ শতাংশ ঘরবাড়ির বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সপ্তাহখানেক ধরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালানোর পর রোববার সকালে ফ্লোরিডা কি-র কেন্দ্র বরাবর আঘাত হানে কিছুটা দুর্বল হয়ে চার মাত্রার হারিকেনে পরিণত হওয়া আরমা।

এতে ওই প্রবাল দ্বীপগুলোর দৃশ্যপট বদলে যায়। ঝড়ের দুইদিন পর মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দ্বীপগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তারা দেখতে পান, বেশিরভাগ বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে ভেতরের অংশ উন্মুক্ত হয়ে রয়েছে।

ঝড়ে কমবেশি সব বাড়িঘরই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা ব্রুক লং জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফ্লোরিডা এবং আশপাশের অঙ্গরাজ্যের প্রায় ৫৮ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। সোমবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ৭৪ লাখ ছিল। 

ফ্লোরিডা পাওয়ার অ্যান্ড লাইট করপোরেশন জানিয়েছে, অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম দিকে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের অভাবে ঘরের ভেতর অবস্থান করাও কষ্টকর হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। বেশিরভাগ গাছ উপড়ে যাওয়ায় মিলছে না প্রাকৃতিক ছায়াও। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সেবা-কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে।

মঙ্গলবারও ফ্লোরিডার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর জ্যাকসনভিল বন্যার পানিতে ডুবে ছিল।

মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো ফ্লোরিডার বেশ কয়েকটি বড় বিমানবন্দর ফের সীমিত আকারে যাত্রী পরিবহনের কাজ শুরু করেছে।

টেক্সাসে হারিকেন হার্ভির ধ্বংসযজ্ঞ এবং তারপর সৃষ্ট বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু ও ১৮০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতির দুই সপ্তাহের মধ্যে আরমার আঘাত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার শেষ দিকে আরমা আরো শক্তি হারিয়ে ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আলাবামার পথে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার; মঙ্গলবার ঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।