এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
রোববার কলম্বিয়ায় জলবায়ু বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পোপ বলেন, “যদি আমরা ঘুরে না দাঁড়াই, আমরা ডুবে যাব।”
“আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে। এমনকি রাজনীতিবীদদেরও নিজ দায়িত্ব আছে।”
সম্মেলনে তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে ২০১৫ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির জোরাল সমর্থন জানান। সম্প্রতি ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফ্রান্সিসের সম্মেলনের সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার আছড়ে পড়ার পথে ছিল হারিকেন ইরমা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্যানুযায়ী সোমবার ০২:০০ জিএমটিতে ফ্লোরিডায় উপর আছড়ে পড়া ইরমা অধিকাংশ এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
পোপ বলেন, “আপনারা স্বচক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন এবং আমাদের কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটি বিজ্ঞানীরা খুবই স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন।”
“জলবায়ু পরিবর্তন রোধের দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের সবাইকেই কম-বেশি দায়িত্ব নিতে হবে, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্বগুলোর একটি। আমাদেরকে বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এটি নিয়ে হাস্যরসের কোনো সুযোগ নেই।”
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ঐকমত্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে ওই জলবায়ু চুক্তি হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগে নেওয়া হবে, যাতে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়।
জুনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার কারণ হয়।
পোপ বলেন, “যদি কেউ জলবায়ু পরিবর্তনের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান থাকেন তবে তার উচিত বিজ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করা। তাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। এটি হাওয়ায় ভাসা মতামত নয়। তাই প্রত্যেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং ভবিষ্যত তাদের সিদ্ধান্তের ঠিক-ভুল বিচার করবে।”