রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমারজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতার জেরে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে।

>>রয়টার্স
Published : 11 Sept 2017, 12:45 PM
Updated : 11 Sept 2017, 12:53 PM

রোববার সন্ধ্যায় তলোয়ার ও লাঠি হাতে প্রায় ৭০ জনের একটি দল মাগওয়ে বিভাগের তাউং উইন গাই শহরে একটি মসজিদে হামলার চেষ্টা করে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মসজিদের ইমাম মুফতি সুলাইমানের বরাত দিয়ে সোমবার রয়টার্স জানায়, তারা ‘এটি আমাদের দেশ, এটি আমাদের ভূমি’ বলে চিৎকার  করছিল।

ফোনে সুলাইমান আরও বলেন, “আমরা মসজিদের বাতিগুলো বন্ধ করে দিয়ে লুকিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই।”

পরে সরকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ‘রাবার বুলেট ছুড়ে’ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

ওদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকদিন ধরে একটি গুজব ছড়ানো হয়। বলা হয়, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিশোধ নিতে ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে’।

যে কারণে বৌদ্ধ মঠগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

ধর্মীয় উসকানিমূলক কোনও গুজব ছড়ানোর পেছনে দায়ীদের বিরদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে শনিবার হুঁশিয়ার করেছে মিয়ানমার সরকার।

বৌদ্ধ অধ্যুষিত ৫ কোটি ১৪ লাখ মানুষের দেশ মিয়ানমারে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মুসলিম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের পক্ষ থেকে মিয়ানমার জুড়ে সবগুলো মসজিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

মুসলিম ধর্মের নেতারা সব ধর্মের মানুষদের ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেছেন বলে জানায় রয়টার্স।

গত ২৪ অগাস্ট রাতে একযোগে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) সদস্যরা। এরপর রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করলে বাংলাদেশ অভিমুখে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এরই মধ্যে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।

সেনা অভিযানে সৃষ্ট মানবিক সংকট থেকে উত্তরণে ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে রোববার থেকে এআরএসএ’র সদস্যরা এক মাসের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।

যদিও মিয়ানমার সরকার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানায় রয়টার্স।