রাখাইনের পরিস্থিতি সত্যিই খুবই মারাত্মক উল্লেখ করে লি বলেন, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় নেত্রী সু চির পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।
রাখাইনে সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে পাড়ি জমানো রোহিঙ্গার সংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবমতে ৮৭ হাজারে পৌঁছানোর পর লি এ মন্তব্য করলেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে রাখাইনে সহিংসতার সময়ও এত বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে আসেনি।
তবে সে সময় এবং এখন দুই সময়েই রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলা পরবর্তী সেনা অভিযানের কারণে রোহিঙ্গাদের এ ঢল নেমেছে।
স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে রাখাইনের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতেও একটি মাত্র রোহিঙ্গা গ্রামেই ৭শ’ র বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে যেতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের বিশেষ মানবাধিকার কর্মকর্তা লি বলছেন, গত অক্টোবরের তুলনায় এবার ‘ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা অনেক বেশি।’
“এ পরিস্থিতি সামাল দিতে নেত্রীকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার তার নিজ ক্ষমতাবলে প্রত্যেককে রক্ষা করবে এটিই আমরা যে কোনও সরকারের কাছ থেকে আশা করব।”
লি এর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলে মালালা বলেছেন, সু চির কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
“গোটা বিশ্ব এবং রোহিঙ্গা মুসলিমরাও অপেক্ষায় আছে”, বলেন মালালা।
সু চি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট না হলেও তাকে দেশটির সরকার প্রধান হিসাবেই দেখা হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা লি বলেন, সু চি একটি কঠিন এবং বেকায়দা অবস্থার মধ্যে থাকলেও এখন তার সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে বলেই তিনি মনে করেন।