ইতালির ভূমিকম্পে চাপা পড়া তিন সহোদরকে উদ্ধার

ইতালির উপকূলীয় দ্বীপ ইসকিয়ায় ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া তিন সহোদরের সর্বশেষ জনকেও জীবত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2017, 02:57 PM
Updated : 22 August 2017, 04:17 PM

বিবিসি জানায়, ভূমিকম্পের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া দুইটার দিকে  তিন সহোদরের মধ্যে সবার বড় ১১ বছরের কিরোকে যখন বের করে আনা হয় তখন চারিদিকে সবাই করতালি দিয়ে ওঠে।

ভূমিকম্পের সময় এই শিশুটির বুদ্ধিমত্তাতেই তার ছোট দুই ভাই বেঁচে যায়। ঝাঁকুনি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাত মাস ও আট বছর বয়সের দুই ভাই পাসকুয়াল ও ম্যাটিয়াসকে খাটের নিচে ঠেলে দেয় কিরো।

ভোরেই পাসকুয়ালকে উদ্ধার করা হয়, সকালে বের করে আনা হয় ম্যাটিয়াসকে।

তিন ভাইয়ের পিতা-মাতা এবং অন্য এক নারী আগেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন।

নেপলস শহরের নিকটবর্তী ইসকিয়ায় স্থানীয় সময় সোমবার রাত নয়টার দিকে চার দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে অন্তত দুইজন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছেন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিকম্পে দ্বীপটির কাসামিচোলা শহরের প্রায় ছয়টি ভবন ও একটি গির্জা ধসে পড়েছে।

ইসকিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। কিন্তু পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় দ্বীপটিতে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে।

ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর স্থানীয় হোটেল, বার ও রেস্তোরাঁগুলো থেকে আতঙ্কিত লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসে।

তেমনই একজন পরে টুইটারে লেখেন, “ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা, সবকিছু দুলছিল, চারদিক অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, বাড়িঘর ধসে পড়ছিল…দুঃস্বপ্ন।”

ভূমিকম্পের পর দ্বীপটির ভবনগুলোর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যে কারণে প্রায় ২৬শ’ মানুষ এখনই তাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান নাগরিক সুরক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান অ্যাঞ্জেলো বরেল্লি।

ভূমিকম্পের পর নেপলস-ইসকিয়ারের মধ্যে বাড়তি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো রাতভর উদ্ধারকর্মীদের দ্বীপে আনতে এবং দ্বীপ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ করেছে।

ভূমিকম্পের পর অনেক পর্যটক আগেভাগেই দ্বীপ ছাড়ছেন বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা।

নেপলস-ইসকিয়া ফেরিতে এক ঘণ্টা সময় লাগে।

এর আগে ১৮৮৩ সালের জুলাইয়ে ইসকিয়ায় ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে  দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।