আফগানিস্তানে ‘যুদ্ধ জয়ের’ প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

বর্তমান কৌশল পরিবর্তন করে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে আফগানিস্তানের ‘যুদ্ধ জয়ের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2017, 05:42 AM
Updated : 22 August 2017, 05:42 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার রাতে ওয়াশিংটনের কাছে এক সামরিক ঘাঁটিতে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তার এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য আফগানিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় ইচ্ছুক ইসলামি জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করা।   

বিবিসি জানিয়েছে, তাড়াহুড়া করে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী প্রত্যাহার করে নিলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা সন্ত্রাসীরা পূরণ করবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইম টাইমে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে ফিরিয়ে আনতে চান, কিন্তু তার পরিবর্তে সেখানে অবস্থান করে ‘যুদ্ধ জয়’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ ইরাকে যে ভুল হয়েছে তা এড়াতে চান তিনি।

আফগানিস্তানে নতুন করে কতো সেনা পাঠানো হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি ট্রাম্প, অপরদিকে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি কবে শেষ হবে তার নির্দিষ্ট সময়সীমাও উল্লেখ করেননি তিনি।

আফগানিস্তানকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “আমাদের সমর্থন কোনো ব্ল্যাংক চেক না। আমরা জাতি গঠনে কাজ করছি না। আমরা সন্ত্রাসীদের হত্যা করছি।”

এর পাশাপাশি পাকিস্তান, ভারত ও নেটো মিত্রদের আফগানিস্তানের বিষয়ে তাদের নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণের তাগাদা দেন তিনি।

পাকিস্তানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, দেশটি চরমপন্থিদের ‘নিরাপদ স্বর্গ’ গড়ার সুযোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্র আর সহ্য করবে না; যুক্তরাষ্ট্রের পাশে না থাকলে পাকিস্তানকে ‘অনেক কিছু হারাতে হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলার দিচ্ছি, আর একই সময়ে তারা সেইসব সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে যাদের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি।”

তবে ট্রাম্পের এই অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর; এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের কোনো গোপন আস্তান নেই। হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি আমরা।”  আফগানিস্তানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।   

ট্রাম্প কিছু না বললেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে আফগানিস্তানে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের আট হাজার ৪০০ সেনার সঙ্গে আরো চার হাজার সেনা যোগ করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের করা পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

আফগানিস্তানে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল জন নিকলস এ পরিমাণ সেনা পাঠানোর অনুরোধই জানিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে এক বিবৃতিতে ম্যাটিস ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‍যুক্তরাষ্ট্রের ‘বেশ কয়েকটি’ মিত্র দেশ আফগানিস্তানে তাদের ‘সেনা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে’।