বিবিসি জানায়, এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারী মডেল পুলিশের কাছে গ্রেসের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তরুণীর অভিযোগ, জোহানেসবার্গের কাছে একটি হোটেলে গ্রেস তাকে তার দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৫২ বছর বয়সী গ্রেসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও তিনি হাজির হননি।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ মুগাবেপত্নীকে ধরতে সীমান্তে সতর্কতা জারি করে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠকে অংশ নিতে ওই সময় জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেও দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন।
ওই সম্মেলনে আসা ফার্স্টলেডিদের একটি অনুষ্ঠানে শনিবার গ্রেসের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তাকে সেখানেও দেখা যায়নি।
রোববার জিম্বাবুয়ে বেতারের খবরে বলা হয়, “ভোরে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ফার্স্টলেডিকে নিয়ে এয়ার জিম্বাবুয়ের একটি উড়োজাহাজে করে হারারে পৌঁছেছেন।”
গ্রেসের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
গ্রেসের জন্য জিম্বাবুয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক দায়মুক্তি সুবিধা চাওয়া হয়েছিল। যদিও তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানায় বিবিসি।