আইএস অধিকৃত তাল আফার অভিযানে ইরাকি বাহিনী

ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা সর্বশেষ শহরগুলোর অন্যতম তাল আফার পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে দেশটির স্থল বাহিনীগুলো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 05:56 AM
Updated : 20 August 2017, 06:00 AM

রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ অভিযানের ঘোষণা দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি, জানিয়েছে বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আইএসের জঙ্গিদের ‘আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু’, এ দুটির একটি বেছে নিতে হবে বলে ভাষণে বলেন তিনি।

ইরাকের একটি মানচিত্র ও একটি পতাকার সামনে কালো সামরিক উর্দি পরে দাঁড়িয়ে দেওয়া ভাষণে আবাদি বলেন, “দায়েশকে (আইএস) বলছি, আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”

“পুরো পৃথিবী আপনাদের সঙ্গে আছে,” ইরাকি সৈন্যদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলে ভাষণ শেষ করেন তিনি।

এর কয়েক ঘন্টা আগে ইরাকি বিমান বাহিনী তাল আফারের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে আকাশ থেকে লিফলেট ছেড়ে শহরবাসীকে আসন্ন হামলার জন্য ‘প্রস্তুত’ হতে সতর্ক করে।  

লিফলেটে বলা হয়, “খোদার ইচ্ছায় যুদ্ধ আসন্ন এবং বিজয় আসছে।”

স্থল অভিযানের প্রস্তুতির জন্য কয়েকদিন ধরে শহরটির আইএস অবস্থানগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ করেছে ইরাকের যুদ্ধবিমানগুলো। 

জুলাইয়ে ইরাকে আইএসের প্রধান শক্তিকেন্দ্র মসুল পুনুরুদ্ধারের পর তাল আফারের দিকে নজর দেয় ইরাকি সেনাবাহিনী। মসুল থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত শহরটি দীর্ঘদিন ধরে কট্টরপন্থি সুন্নি বিদ্রোহীগোষ্ঠীটির শক্তিকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কিন্তু জুনেই আইএস-নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য এলাকাগুলো থেকে তাল আফারকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। দক্ষিণ দিকে শহরটিকে ঘিরে অবস্থান নেয় ইরাকি সরকারি বাহিনী ও শিয়া স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীগুলো, অপরদিকে উত্তরে অবস্থান নেয় কুর্দিদের পেশমেরগা বাহিনী। 

শহরটিতে আইএসের প্রায় দুই হাজারের মতো অভিজ্ঞ যোদ্ধা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন ইরাকি ও তাদের সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডাররা।

শহরটিতে থাকা গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মাসের পর মাস যুদ্ধ করে, বিমান হামলার মোকাবিলা করে ও নতুন সরবরাহের অভাবে আইএসের এসব যোদ্ধারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে; তবু তারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৪ সালে শিয়া অধ্যুষিত তাল আফার দখল করে নিয়েছিল আইএস। মসুল ও সিরিয়ার সীমান্তের মধ্যে সংযোগকারী একটি প্রধান সড়ক শহরটির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এই সড়কটি এক সময় আইএসের প্রধান সরবারহ রুট ছিল।