বিবিসি জানায়, অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে বসবাস করা রুথ ফাও দেশজুড়ে ১৫০টি কুষ্ঠরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
মহীয়সী এই নারীর চেষ্টাতেই ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানে কুষ্ঠরোগ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফাও’র জাতীয় কুষ্ঠরোগ সেন্টারের সদস্য ইয়াসমিন মোরিস বলেন, তার মৃত্যু ‘মানবতার জন্য বিরাট ক্ষতি’।
“বর্তমান যুগে তার মত মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন। আজকাল সবাই নিজের স্বার্থের কথা ভাবে, তিনি কখনও নিজের কথা ভাবেননি। তিনি খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন এবং মানুষকে ভালোবাসতেন।”
করাচির সেন্ট প্যাটরিক গির্জায় রুথ ফাওকে সমাহিত করা হয়েছে। তার কফিন পাকিস্তানের পতাকায় মোড়ানো ছিল।
ফাওয়ের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ আব্বাসি বলেন, “ডা. ফাও জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করলেও তার হৃদয় সব সময় পাকিস্তানে ছিল।”
১৯৬০ সালে একটি মিশনারি দলের অধীনে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে প্রথম পাকিস্তানে আসেন ডা. ফাও।
নিজের কাজের জন্য পাকিস্তানে দারুণ সম্মানিত ডা. ফাও হিলাল-ই-ইমতিয়াজ ও হিলাল-ই-পাকিস্তান পুরস্কার পেয়েছেন।