আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে লেবানন সেনাবাহিনী, হিজবুল্লাহ

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিরীয় সীমান্তে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একটি ছিটমহলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী।

>>রয়টার্স
Published : 19 August 2017, 07:27 AM
Updated : 19 August 2017, 07:27 AM

শনিবার ভোরে লেবানন সেনাবাহিনী অভিযানটি শুরু করার পরপরই একইসঙ্গে ছিটমহলটির বিরুদ্ধে সিরিয়ার দিক থেকে অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ। 

লেবানন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাস বালবেক শহরের কাছে আইএসের অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে রকেট, কামান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করছে লেবাননি সেনাবাহিনী।

ওই ছিটমহলটিতে কয়েকশত আইএস যোদ্ধা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লেবাননি-সিরীয় যুদ্ধক্ষেত্রের একমাত্র এই অংশটিই এখনো জঙ্গিগোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে।  

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, সিরিয়ার পশ্চিম কালামউন অঞ্চলে অবস্থানরত আইএসের জঙ্গিরা হিজবুল্লাহ ও সিরীয় সেনাবাহিনী অভিযানের লক্ষ্য; এলাকাটি লেবাননের রাস বালবেকের অপর পাশে।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, “জাতীয় সীমান্ত থেকে সন্ত্রাসীদের সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অভিযানটি শুরু করা হয়েছে এবং সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাশাপাশি থেকে লড়াই করা হচ্ছে।”

বিবৃতিতে লেবাননি সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

একপাশে লেবাননের সেনাবাহিনী ও অপরপাশে হিজবুল্লাহ ও সিরীয় সেনাবাহিনীর মিলিতভাবে যৌথ অভিযান চালালে তা লেবাননের জন্য রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে পারে; কেননা এতে লেবানন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে সামরিক সহায়তা পায় তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।  

কারণ ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ বেসামরিক বাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে হিজবুল্লাহর নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, লেবানন সেনাবাহিনী সীমান্তের তাদের পাশ থেকে আইএসকে আক্রমণ করতে পারে, অপরদিকে একই সময় হিজবুল্লাহ ও সিরীয় সেনাবাহিনী সিরিয়ার পাশ থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করতে পারে।

লেবানন নিরাপত্তা বাহিনীর ওই সূত্রটি ‘আক্রমণ দুটি সমন্বিত নয়’ বলে দাবি করেছে। “প্রত্যেক পক্ষই আলাদাভাবে কাজ করছে,” রয়টার্সকে বলেছে সূত্রটি।

তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ হয়ে লড়াই করা সামরিক জোটের এক কমান্ডার জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযানে ‘স্বাভাবিকভাবেই’ এক ধরনের সমন্বয় হয়ে থাকে।  

গত মাসে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ অভিযান চালিয়ে সিরিয়ার উগ্রপন্থি বিদ্রোহীগোষ্ঠী নুসরা ফ্রন্টের জঙ্গিদের ও সিরীয় বিদ্রোহীদের নিকটবর্তী সীমান্ত এলাকার শক্তিকেন্দ্রগুলো ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।

জুলাইয়ে এই অভিযান চলার সময় লেবাননের সেনাবাহিনী অভিযানে অংশ না নিলেও একই পার্বত্য এলাকায় তারা আইএসের ছোট ছোট পকেট অবস্থানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।