মুগাবেপত্নীকে ধরতে দক্ষিণ আফ্রিকা সীমান্তে ‘সতর্কতা’

জিম্বাবুয়ের ফার্স্টলেডি গ্রেস মুগাবের জন্য সীমান্তে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2017, 07:07 AM
Updated : 18 August 2017, 07:07 AM

জোহানেসবার্গের কাছে একটি হোটেলে গত রোববার বিকালে ২০ বছরের এক নারীকে তার দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগে মুগাবেপত্নীর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ মন্ত্রণালয় এ সতর্কতা জারি করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

“সীমান্তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তিনি দেশ ছাড়তে না পারেন; রেড অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। তিনি পালাতে পারবেন না,” বলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী ফিকিলে এম্বালুলা।

অভিযোগ বিষয়ে ৫২ বছর বয়সী গ্রেসকে তলব করা হলেও মঙ্গলবার তিনি হাজির হননি; জিম্বাবুয়ের এই ফার্স্টলেডি এখন কোথায় তাও অজানা।যদিও ধারণা করা হচ্ছে এখনও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়েননি।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের এক বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে।

অনলাইনে নিজের আঘাতের ছবি পোস্ট করেন গেব্রিয়েলা অ্যাঞ্জেলস।

গ্রেসের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি; যদিও জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন জানু পি এফ পার্টি এক টুইট বার্তায় বলেছে, আক্রান্ত হওয়ার পর নিজেকে রক্ষা করতেই এ কাজ করেছেন ফার্স্টলেডি।

গ্রেসের জন্য জিম্বাবুয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক দায়মুক্তি সুবিধা চাওয়া হয়েছে বলেও বুধবার জানায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ মন্ত্রণালয়।

গ্রেসের ‍বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা তরুণী গেব্রিয়েল অ্যাঞ্জেলস বলেন, ছেলে বেলারমাইনের খোঁজ না পেয়ে গ্রেস তার উপর ‘এক্সটেনশন কর্ড’ নিয়ে হামলা চালান।

“তিনি আমাদের কাছে ছেলের খোঁজ জানতে চান..বারবার তাকে জানানো হয় যে আমরা তার ছেলে কোথায় তা জানি না, রাতের পর থেকে আমরা তাকে দেখিনি।

“এরপরই তিনি আমাকে কোণঠাসা করে ফেলেন এবং ইচ্ছেমতো পেটাতে থাকেন; তিনি মারতে থাকেন চরম ঘৃণা নিয়ে।”

প্যারা অলিম্পিকে সোনাজয়ী দৌড়বিদ অস্কার পিস্টোরিয়াসকে দোষী সাব্যস্ত করা আইনজীবী গেরি নেল মুগাবেপত্নী গ্রেসের ‍বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা গেব্রিয়েলের পক্ষে লড়ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গেরি নেল এখন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেই আফ্রিফোরাম জানিয়েছে, পুলিশ ব্যর্থ হলে তারা নিজেরাই জিম্বাবুয়ের ফার্স্টলেডির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে তদন্তকাজ চালাবে।

গ্রেস কূটনৈতিক দায়মুক্তি পেলে তার বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিফোরাম।