এবার কনফেডারেট কমান্ডারের ভাস্কর্যের প্রশংসায় ট্রাম্প

ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে সহিংসতার জন্য শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের স্পষ্ট ভাষায় নিন্দা না জানানোয় সমালোচনার মুখে পড়া যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার কনফেডারেট বাহিনীর কমান্ডার রবার্ট ই লি’র ভাস্কর্যের প্রশংসা করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2017, 06:31 AM
Updated : 18 August 2017, 08:58 AM

দাসপ্রথার পক্ষে যুদ্ধ করা কনফেডারেট কমান্ডারের এই ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই গত শনিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল উগ্র ডানপন্থিরা। সেদিনই তাদের সঙ্গে ‌বিরোধীদের সংঘাত বাধে, যাতে এক নারী নিহত ও অন্তত ১৯ জন আহত হয়।

বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প ভাস্কর্যটিকে ‘চমৎকার’ অ্যাখ্যা দিয়ে এটি সরানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

“দুঃখের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে চমৎকার সব ভাস্কর্য ও স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে ফেলে আমাদের মহান এ দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি টুকরো টুকরো করে ফেলা হচ্ছে। আপনি ইতিহাস বদলাতে পারবেন না, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নিতে পারবেন,” বলেন ট্রাম্প।

একের পর এক ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়াকে বোকামি বলেও অভিহিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

“রবার্ট ই লি, স্টোনওয়েল জ্যাকসন, তারপর কে ওয়াশিংটন, জেফারসন? চরম বোকামি হচ্ছে।”

রবার্ট ই লি’র মতো স্টোনওয়েল জ্যাকসনও কনফেডারেট বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ভার্জিনিয়া থেকে তার ভাস্কর্যও সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

শার্লটসভিলে সহিংসতায় কট্টর ডানপন্থিদের পাশাপাশি তাদের বিরোধীদের সমালোচনা করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়া ট্রাম্পের নতুন এই মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলে দেবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

শনিবার ঘটনার পরপরই দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংঘর্ষের জন্য ‘অনেক পক্ষ’কে দায়ী করে বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে সোমবার কু ক্লুক্স ক্ল্যান, নিও-নাজি ও শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের দায়ী করলেও পরদিন ফের আগের অবস্থানে ফিরে যান ট্রাম্প; বলেন, সংঘর্ষের জন্য উগ্র ডানপন্থিদের পাশাপাশি তাদের বিরোধী ‘উগ্র বামপন্থিদেরও ভূমিকা ছিল’।

কট্টর ডানপন্থিরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও ডেমোক্রেট এমনকি রিপাবলিকানদের অনেকেও ট্রাম্পের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে আসছেন।

ট্রাম্পের অবস্থানের প্রতিবাদে তার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সিইও পদত্যাগ করেন। বাধ্য হয়ে সেসব পরিষদ ভেঙ্গেই দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।