একদিনে ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার স্পেনের

স্পেনের জলসীমায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ বাড়ার মধ্যেই ২৪ ঘণ্টা মধ্যে মরক্কো থেকে আসা অন্তত ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কোস্টগার্ড ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2017, 05:29 AM
Updated : 17 August 2017, 05:29 AM

১৫টি নৌযান থেকে উদ্ধার করা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর সঙ্গে একটি বাচ্চাসহ ৩৬টি শিশু এবং তাদের ব্যবহৃত নৌযানগুলোর মধ্যে প্যাডেলচালিত খেলনা বোট ও ওয়াটার স্কুটার ছিল বলে বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেনে প্রবেশ করেছে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

এই পথে অভিবাসনপ্রত্যাশী অন্তত ১২০ জন ডুবে মরেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

সমুদ্রপথে স্পেনে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে উত্তর আফ্রিকার স্পেনিশ ছিটমহল সিউতা এবং মেলিলায় প্রবেশ করা শরণার্থীদের সংখ্যা যোগ করা হয়নি। এ ছিটমহল দুটিই ইউরোপের সঙ্গে আফ্রিকার স্থলসীমান্ত হিসেবে পরিচিত।  

এ বছর সমুদ্রপথে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বিবেচনায় স্পেন গ্রিসকে টেক্কা দিয়েছে বলে চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশ জিব্রাল্টার প্রণালীর ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পাড়ি দিয়ে স্পেনে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের বেশিরভাগই মানব পাচারকারীদের নেটওয়ার্ক ও তাদের যে অর্থ দিতে হয় তা এড়াতে সস্তা ও শিশুদের উপযোগী মোটরবিহীন প্যাডেল বোট ব্যবহার করছে।

কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশের পর স্পেনিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের অবস্থান জানানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে বলে স্পেনের উপকূলীয় শহর তারিফা থেকে বিবিসি প্রতিনিধি গেভিন লি জানিয়েছেন।

এদিকে চলতি বছরের এ পর্যন্ত স্পেনের তুলনায় অনেক বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া হয়ে ইতালি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে আইওএম। এদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি এবং এই পথে দুই হাজার ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। 

জুনে কেবল একদিনেই ভূমধ্যসাগর থেকে প্রায় ৫ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল ইতালীয় কোস্টগার্ড।