রোববার সুমাত্রার বেংকুলু শহর থেকে ৮১ কিলোমিটার পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ৬৭ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চ্যানেল নিউজএশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পটি খুব শক্তিশালী ছিল এবং পাদাং পর্যন্ত পশ্চিম সুমাত্রার সব এলাকায় অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াদি; তবে এতে সুনামির কোনো হুমকি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্মকর্তারা হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বেংকুলুর বাসিন্দা নেং হাসনাহ জানিয়েছেন, কয়েক সেকেন্ড ধরে প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন তারা, এতে আতঙ্কিত হয়ে তারা সবাই ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে যান।
ভূমিকম্পটি সিঙ্গাপুর থেকেও অনুভূত হয়েছে বলে বলে জানিয়েছে চ্যানেল এশিয়ানিউজ।
কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের মতো ঘটনা ঘটে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম আচেহ প্রদেশে এক ভূমিকম্পে শতাধিক লোক নিহত ও আরো কয়েকশত আহত হয়েছিল এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছিল।