‘হুমকি মোকাবেলায় গুয়াম সুরক্ষিত’

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি মোকাবেলায় গুয়াম সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন দ্বীপটির গভর্নর। তিনি বলেন, দ্বীপটি ভালভাবে-অস্ত্রসজ্জিত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2017, 04:38 PM
Updated : 11 August 2017, 12:44 PM

গভর্নর এডি ক্লাভো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যন্ত প্রশান্তমহাসাগরীয় এ দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি গাড়ার পর থেকেই এটি হামলার লক্ষ্য হয়েছে। আর সে কারণেই আমেরিকার যে কোনও জায়গার তুলনায় এ এলাকাটি যে কোনও হুমকি মোকাবেলায় অনেক বেশি প্রস্তুত।

গুয়ামের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ক্লাভো বিস্তারিত কিছু বলেন নি।

তবে দ্বীপটিতে দু’টো মার্কিন সামরিক স্থাপনা আছে। আর সেগুলোতে মোতায়েন আছে ‘থাড’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থাও। যে ব্যবস্থায় স্বল্প পাল্লা, মাঝারি পাল্লা কিংবা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গভর্নর বলেন, গুয়ামের অবকাঠামো যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তাতে এটিকে আগাবাড়িয়ে চালানো হামলা কিংবা হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা দুয়েরই সমন্বয় করতে ভালভাবে অস্ত্রসজ্জিত করা হয়েছে।

এছাড়াও, আছে সেখানে আছে ৬ হাজার মার্কিন সেনা। দুটো ঘাঁটির একটি বিমান এবং অন্যটি নৌ ঘাঁটি। উত্তর কোরিয়া থেকে মাত্র ২ হাজার ২শ মাইল দূরের এ দ্বীপে আরও আছে আমেরিকান বোমারু বিমান, সাবমেরিন এবং প্রশান্তমহাসাগরের অন্যান্য জাহাজও।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে প্রায়ই এখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলে পুরো এলাকায় চক্কর দেয় শক্তিমত্তা জানান দেয়।

মধ্য অগাস্টের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামের কাছে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার জন্য তৈরি থাকবে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির এ হুমকিতে আতঙ্কে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট্ট ওই দ্বীপটির অধিবাসীরা। দ্বীপে হামলা হলে কোথাও গিয়ে লুকানোরও জায়গা নেই বলে শঙ্কা অনেকেরই।

তবে গুয়ামের ঘাঁটিগুলো দ্বীপটির ১৬৩,০০০ অধিবাসীকে রক্ষায় সহায়ক। উত্তর কোরিয়ার হুমকির পর গুয়ামের গভর্নর অধিবাসীদের শঙ্কা দূর করতে ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা জানি গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রতিশোধের হুমকির খবরে আমাদের ঘুম উড়ে গেছে। কিন্তু গুয়ামের মানুষকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে সম্প্রতি আমাদের দ্বীপে কোনও হুমকি নেই।”