যারা একেবারেই মদ পান করেন না তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে তিন-চার বার মদ পান করেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম। ডেনমার্কের গবেষকরা একথা বলেছেন।
ডায়াবেটোলোজিয়ায় প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হওয়ার কারণে এটি ডায়াবেটিস রোধে বিশেষভাবে উপকারী। তবে তাই বলে বেশি বেশি মদ পান করাও ঠিক নয় বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
বিবিসি জানায়, গবেষকরা মদ পান করেন এমন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা কত পরিমাণ এবং কত ঘন ঘন মদ পান করেন তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্কের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথ’ এর এ গবেষণার প্রধান গবেষক প্রফেসর জ্যান টোলস্ট্রাপ বলেছেন, “একবারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ পানের চেয়ে ধাপে ধাপে মদ পানের আলাদা উপকারিতা আছে।” অর্থাৎ, মদ পুরোটা একবারে পান না করে চারটি ধাপে তা পান করলে এর বেশি কার্যকর প্রভাব পড়ে।
গবেষকরা বলছেন, সপ্তাহে যারা একদিনও মদ পান করেন না তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে তিন থেকে চারবার মাঝারি ধরনের মদপান করেন তাদের মধ্যে নারীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩২ শতাংশ কমে যায়। আর পুরুষদের এ ঝুঁকি কমে ২৭ শতাংশ।
গবেষণায় এও দেখা গেছে যে, সব ধরনের অ্যালকোহলের প্রভাব শরীরে একরকম হয় না। বিভিন্ন ধরনের মদের মধ্যে বিশেষত, রেড ওয়াইন শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
আর বিয়ার পানের কথা বলতে গেলে বলা যায়, পুরুষদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক থেকে ছয়বার বিয়ার পান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমায়। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ার পানের কোনও প্রভাব পড়ে না।
গবেষকরা বলছেন, নারী, পুরুষ সবারই পরিমিত পরিমাণে মদ পান করা ভাল। সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি অ্যালকোহল পান করা উচিত নয়। সপ্তাহে তিন-চার দিনেই তা পান করা উচিত। আর কোনও কোনও দিন উচিত মদপান মুক্ত থাকা।