তবে বুধবারের ওই রায়ে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী তামিল টাইগারের নাম কালোতালিকা থেকে সরানোর যেতে পারে বলে বলেছে আদালত।
হামাসের সম্পদ জব্দ ও এর বিরুদ্ধে আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ধরে রাখার পক্ষে ইইউ কাউন্সিলের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই বলে ২০১৪ সালে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত; কিন্তু ইউরোপিয়ান কোট অব জাস্টিস (ইসিজে) ওই রায় বাতিল করেছে।
নিজেদের পর্যবেক্ষণে নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের’ সিদ্ধান্তের বলে নয় বরং গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে প্রাপ্ত প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে হামাসকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু ইসিজে বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র প্রাথমিক তালিকায় থাকা গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
রায়ে বলা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী তৎপরতায় যুক্ত আছে এবং ঝুঁকিবহন করছে এমন সিদ্ধান্ত থেকে ওই ব্যক্তি বা সত্তাকে প্রাথমিক তালিকায় রাখতে পারে কাউন্সিল, প্রাথমিক তালিকায় রাখার জন্য এটিই যথেষ্ট।”
প্রাথমিক সিদ্ধান্তের জন্য ইইউ-র অতি সাম্প্রতিক উপাদানের ওপর নির্ভর করা দরকার বলে রায়ে মন্তব্য করেছে আদালত।
ইসিজে আরো বলেছে, নিম্ন আদালত এখন এই বিষয়গুলো ও যুক্তিতর্কগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পারবে যা তারা ২০১৪ সালের রায়ের সময় বিবেচনা করেনি।
এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তারা তাদের লোকজন ও তাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে দেওয়া এই ‘অন্যায্য, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে’ আইনি প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ জানাবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
পাশাপাশি দেওয়া আরেকটি রায়ে ইইউয়ের সর্বোচ্চ ওই আদালত শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) নাম ইইউর সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে।