ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের নীতি উল্টে যাচ্ছে।
ওবামা প্রশাসন গতবছর সেনাবাহিনীতে প্রকাশ্যেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করার নীতি নিয়েছিল।
ট্রাম্প আমলে এসে আগের সরকারের সেই পরিকল্পনা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস।
আর এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার এক টুইটে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে সেনাবাহিনীতে না নেওয়ার কথা বললেন।
টুইটে ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা এবং এর প্রভাবে বাহিনীতে প্রচুর ডাক্তারি খরচ এবং কাজ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ জয়ের চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। তাদের ওপর বিপুল ডাক্তারি খরচের বোঝা চাপানো যায় না কিংবা কোনও বিঘ্নও ঘটতে দেওয়া যায় না।”
কয়েকজন রিপাবলিকানও সামরিক বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কাজ করার বিরোধিতা করছেন।
মার্কিন সেনাবাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে গতবছর স্বাধীন র্যান্ড করপোরেশনের এক হিসাবে বলা হয়, মার্কিন বাহিনীতে ১২ লাখ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আছে।
ট্রাম্পের পদক্ষেপ তৃতীয়লিঙ্গের পক্ষে প্রচারকর্মীদেরকে খেপিয়ে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।