লুয়ং ‘ধারাবাহিকভাবে সরকার উৎখাত এবং স্থানীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত’ করার চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে পুলিশের সংবাদ মাধ্যমে জানানো হলেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
রয়টার্স লুয়ং- এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি; তার কোনো আইনজীবি আছে কি না তাও জানতে পারেনি।এই ঘটনাটিকে কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত রাষ্ট্রটির ভিন্নমত দমনের সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে দেখছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
দ্রুত অর্থনৈতিক সংস্কার এবং সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারসহ সামাজিক পরিবর্তনের বিষয়ে উদার হলেও ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের ওপর কঠিন সেন্সরশিপ আরোপ এবং সমালোচনা সহ্য না করতে পারার অভিযোগ আছে।
বেশ কয়েকজন ভিন্নমতাবলম্বী এবং ব্লগার অনলাইনে লুয়ং-এর সমর্থনে কথা বলছেন। তথ্যের ওপর সরকারের কড়া নজরদারি থাকায় সমালোচকরা সাধারণত ব্লগ এবং ফেইসবুকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই তাদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জুনে ভিয়েতনামের আদালত রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ‘মি নাম’ (মাশরুমের মা) নামে খ্যাত ব্লগার নগুয়েন নগক নু কুন-কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
কুনের আইনজীবি জানান, পুলিশ হেফাজতে এক নাগরিকের মৃত্যুর খবরসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন প্রতিবেদনের জন্য পুলিশের হাতে আটকের ছয় মাস পর একদিনের বিচারে কুনের সাজা হয়।
জানা গেছে, কুন এবং লুয়ং তাইওয়ানের ফরমোজা প্লাস্টিক কর্পোরেশনের সহযোগী এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধাচরণ করে আসছেন, যে প্রতিষ্ঠানের কারণে চলতি বছরের এপ্রিলে ভিয়েতনামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।
গত মাসের শুরুতে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে ভিয়েতনামি মানবাধিকার ব্লগারদের মারধর ও ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে ত্রেন থি নগা নামে আরেক ভিন্নমতাবলম্বীকে আটক করে, মঙ্গলবার নগার বিচার হওয়ার কথা রয়েছে।