মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা মেটাল ডিটেক্টরগুলো সরিয়ে নেয়ার পক্ষে ভোট দেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে নজরদারির পরিবর্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য উপায়ে নিরাপত্তা নজরদারির ব্যবস্থা করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর দেওয়া সুপারিশ গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা মন্ত্রিপরিষদ।”
নতুন উপকরণ ও অতিরিক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করতে ১০ কোটি শেকেলস (দুই কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
১৪ জুলাই হারাম আল শরীফ এলাকায় দুই ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারির জন্য হারাম আল শরীফের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
বন্দুকারীরা চোরাপথে হারাম আল শরীফে অস্ত্র নিয়ে আসছে অভিযোগ করে মেটাল ডিটেক্টরগুলো প্রয়োজন বলে দাবি করে ইসরায়েল।
কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত হারাম আল শরীফের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েল নিতে চাচ্ছে এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে, তারা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে।
এ দিন মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে ভিতরে না গিয়ে অনেক ফিলিস্তিনি রাস্তার মধ্যেই জুমার নামাজ আদায় করে।
এই উত্তেজনা জেরুজালেমের পুরনো শহরের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে ‘অনেক দূর পর্যন্ত’ ছড়িয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেন মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত।
এই পরিস্থিতিতে রোববার হারাম আল শরীফের প্রবেশ পথের কাছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসায় ইসরায়েল।
এতে মেটাল ডিটেক্টরগুলো সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এ ধারণার বিপরীত মত প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত সাধারণ্যে ছড়িয়ে পড়া ধারণাটিই বাস্তব রূপ পায়।