আহত হয়েছে আরও শত শত মানুষ। জেরুজালেমের পবিত্র একটি স্থানকে ঘিরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েকদিনের সংঘাতের পর এ সহিংসতা দেখা দিয়েছে।
গত শুক্রবার দুই ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাটিতে উত্তেজনা বেড়েছে।
মুসলিমদের পবিত্র স্থান হারেম আল-শরিফ এবং ইসরায়েলিদের টেম্পল মাউন্টের কাছে তিন ইসরায়েলি আরব বন্দুকধারী ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা বজায় রাখতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসরায়েল।
পবিত্র ওই স্থানটির প্রবেশপথে ইসরায়েলের কড়া তল্লাশি এবং ৫০ বছরের কম বয়সী পুরুষদের সেখানে শুক্রবারের নামাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ফিলিস্তিনি দলগুলো শুক্রবার বিক্ষোভে নামে।
বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের পাথর ও অন্যান্য বস্তু ছুড়ে মারার জবাবে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। কাছাকাছি জায়গায় গুলিতে ১৭ বছরের এক ফিলিস্তিনি নিহত হয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দ্বিতীয় আরেকজন নিহত হয় পূর্ব জেরুজালেমের আ-তুর এলাকায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, তৃতীয়জন পশ্চিমতীরের সংঘর্ষে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জেরুজালেমের অন্যান্য অংশেও সহিংসতা শুরু হয়েছে। রামাল্লাহ এবং জেরুজালেমের মধ্যকার কালান্দিয়া এবং বেথলেহেমের উত্তরের প্রবেশপথে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, প্রায় ৪শ’ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। ৯২ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছে চারজন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাও।
ফিলিস্তিনি ও ইসলামিক নেতারা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বর্তমান সামাজিক অবস্থা মানা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
তবে ইসরায়েল বলছে, ইসরায়েলি পুলিশ হত্যায় যে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তা চোরাচালান হয়ে পবিত্র এ স্থানে আসার কারণে নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় থেকে পূর্ব জেরুজালেমের ওই পবিত্র স্থান ইসরায়েলের দখলদারিত্বে আছে।