বৃহস্পতিবারের এই ধর্মঘটে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনশ’রও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এই মাসের শেষে নতুন একটি সাংবিধানিক অ্যাসেম্বলির অনুমোদন পেতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যে গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন তা বাতিলের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিরোধীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার দেশজুড়ে অনানুষ্ঠানিক গণভোট করে তারা। শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভেরও কর্মসূচি আছে বিরোধীদের।
সমালোচকরা বলছেন, মাদুরো যে সাংবিধানিক অ্যাসেম্বলির প্রস্তাব করেছেন তা বর্তমান সাধারণ অ্যাসেম্বলির ক্ষমতাকে খর্ব করে প্রেসিডেন্টের শাসন আরও সুসংহত করবে। সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে মাদুরোবিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
ধর্মঘটকারীরা রাজধানী কারাকাসের বেশ কয়েকটি রাস্তায় আসবাবপত্র ও ঝুটময়লার ব্যারিকেড দেয়।
দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করলেও মাদুরোসমর্থক এলাকাগুলোর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এসব এলাকার রাস্তাঘাট সচল ছিল, খোলা ছিল দোকানপাট। সরকারি কর্মচারিরাও নির্বিঘ্নে অফিস সেরেছেন।
বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কারাকাসের উপকণ্ঠে একজন এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর ভ্যালেন্সিয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
জীবনযাত্রার ‘সামান্য’ সমস্যা হয়েছে উল্লেখ করে ধর্মঘট ডাকা বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে ‘বিরাট বিজয়ের’ দাবি করে মাদুরো বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো খাত ধর্মঘটে যোগ দেয়নি।
“যারা কাজ করেনা, তাদের তা না করতেই দেয়া হোক। কমরেড, চলুন আমরা এগিয়ে যাই,” বলেন মাদুরো।
৩০ জুলাই গণভোট বন্ধে কলম্বিয়া, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, আলোচনার পথ প্রশস্ত করতেই নতুন সাংবিধানিক অ্যাসেম্বলির প্রয়োজন।
অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত ভেনেজুয়েলায় এই বছরের এপ্রিল থেকে বিরোধীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে শতাধিক লোক নিহত হয়েছে।