কাতারকে দেওয়া শর্ত প্রত্যাহারে সৌদির প্রতি তুরস্কের আহ্বান

কাতারকে দেওয়া ১৩ দফা শর্ত প্রত্যাহারে সৌদি আরবসহ চারটি আরব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।

>>রয়টার্স
Published : 20 July 2017, 08:14 AM
Updated : 20 July 2017, 08:14 AM

এই শর্তগুলো কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের উপ প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুস।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ভ্রমণের আগে বুধবার কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুরতুলমুস ওই আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকারে কুরতুলমুস অবরোধ আরোপকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন, তা না হলে সংঘাত কেবল নতুন সংঘাতেরই জন্ম দেবে যার ‘ফলাফল অনিশ্চিত’ বলে সতর্ক করেছেন তিনি। 

“সংযুক্ত আরব আমিরাত চাইলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে যা শান্তি ও চুক্তির পক্ষে সহায়ক হবে, এটা তাদের স্বার্থের জন্যও জরুরি; তা নাহলে সংঘাত কেবল নতুন সংঘাতেরই জন্ম দেবে, যার ফলাফল সম্পর্কে কারো কোনো ধারণা নেই,” বলেন তিনি।

গত মাসে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর জঙ্গিবাদে সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করলে তুরস্ক কাতারের পক্ষ নেয়।

অবরোধ তুলে নিতে ও সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে ওই চার দেশ কাতারকে ১৩ দফা শর্ত দেয়, যার মধ্যে আছে গণমাধ্যম আল-জাজিরা বন্ধ ও কাতার থেকে তুরস্কের সেনাঘাঁটি প্রত্যাহার।

শুরু থেকেই জঙ্গিবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। পাশাপাশি মেনে নিলে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হবে দাবি করে ওই চার দেশের শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি, তবে অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

কাতার থেকে সেনাঘাঁটি প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা তুরস্কের নেই বলে জানিয়েছেন কুরতুলমুস। ঘাঁটিটি কাতারের প্রতিবেশি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে স্থাপন করা হয়নি বলেও দাবি তুর্কি উপপ্রধানমন্ত্রীর।

বুধবারই কাতারের ওই ঘাঁটিতে নতুন একদল তুর্কি সেনা পৌঁছেছে। 

কিছুদিনের মধ্যেই কাতার ও তুরস্ক ওই অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালাবে বলেও জানান কুরতুলমুস; যুক্তরাষ্ট্রের সেনারাও এতে যোগ দিবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, চলমান কাতার সংকট সমাধানের চেষ্টায় এরদোয়ান ২৩ ও ২৪ জুলাই সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার সফর করবেন।

এর আগে কুয়েতের আমির এবং যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরাও ওই অঞ্চল সফর করে সংকটের সমাধান করার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।