পাঁচ বছরের কম বয়সী এসব শিশুর অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন বলেও সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
রাখাইন রাজ্যের গ্রামগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ওই রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে পালিয়েছে ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা।
বাকী যারা রয়ে গেছে তারা তীব্র খাদ্য সঙ্কটে আছে। মংডুতে একতৃতীয়াংশ পরিবারই চরম খাদ্য সঙকটে ভুগছে। এই এলাকাটি সহিংসতায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে বসবাসরতরা কোনও খাবারই পাচ্ছে না। তাদের ২৪ ঘন্টাই কাটছে অনাহারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ বছরের নিচে কোনও শিশুই নূন্যতম খাবারও পাচ্ছে না। আর ২২৫,০০০ জনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
আগামী ১২ মাসের মধ্যে ৮০ হাজার ৫শ’ শিশুকে মারাত্মক অপুষ্টি থেকে রক্ষার জন্য চিকিৎসা দিতে হবে বলেও ডব্লিউএফপি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
মিয়ানমারে ডব্লিউএফপি’র মুখপাত্র বলেছেন, অপুষ্টিতে ভুগে শিশুরা দ্রুত ওজন হারাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে এবং এতে শিশুরা মারাও যেতে পারে।