বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাওয়াইয়ের একটি আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন ভিসানীতিতে ‘ঘনিষ্ঠ আত্মীয়’ সংজ্ঞার আওতা বাড়িয়েছে।
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের দাদা-দাদী, নানা-নানীসহ আগে যাদের প্রবেশে বাধা ছিল তাদের অনেকেরই দেশটিতে প্রবেশে বা ভিসা পেতে সমস্যা হবে না।
ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আংশিক কার্যকরে আদালতের সায় পাওয়ার পর গত মাস থেকে নতুন ভিসানীতি চালু করে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে সম্পর্কিত নয় এমন ব্যক্তিদের ভিসা দেয়া হবে না, কিংবা প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।
নির্দেশনায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলতে বাবা-মা, স্বামী অথবা স্ত্রী, সন্তান, মেয়ের স্বামী, ছেলের স্ত্রী এবং ভাইবোনকে বোঝানো হয়েছিল।
দাদা-দাদি, নানা-নানি, নাতি-নাতনি, খালা-ফুপু, মামা-চাচা, ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাতিজা-ভাতিজি অর্থাৎ বৃহৎ অর্থে পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা এর আওতায় পড়বেন না বলে তখন বলা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার হাওয়াই আদালতের বিচারক ডেরিক ওয়াটসন ওই নির্দেশনাকে ‘অননুমোদিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ঠিক করা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংজ্ঞা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সংকীর্ণভাবে ব্যখ্যা করেছে।
বিচারক ওয়াটসন বলেন, “ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে যে দাদা-দাদী, নানা-নানীরা থাকেন, তা সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানেই বোঝা যায়। প্রকৃতপক্ষে তারাই ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্যের উৎকৃষ্ট নমুনা,”
ওয়াটসনের এই রায়কে ট্রাম্পের ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেছে বিবিসি।
কয়েক দফা স্থগিতাদেশের পর চলতি বছরের জুনে ওই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আংশিক কার্যকরে সায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
নিষেধাজ্ঞায় ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার কথা বলা হয়।
তবে এসব দেশের নাগরিক যাদের আগে থেকেই বৈধ ভিসা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে না।
দ্বৈত নাগরিকরা যদি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তবে তাদের প্রবেশেও বাধা দেয়া হবে না।
এছাড়া ব্যবসায়িক বা শিক্ষাগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন নির্দেশনার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট জানায়।
পুরো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অক্টোবরে পূর্ণাঙ্গ রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি, তার নিষেধাজ্ঞা আমেরিকাকে সন্ত্রাসী হামলার বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য জারি করা হয়েছে।
যদিও সমালোচকদের ভাষ্য, এতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হয়েছে।