মুখোমুখি বৈঠকে ট্রাম্প-পুতিন ‘ইতিবাচক রসায়ন’

ধারণার চেয়েও লম্বা সময় ধরে চলা ডোনাল্ড ট্রাম্প-ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে দুইনেতার মধ্যে ‘ইতিবাচক রসায়ন’ ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

>>রয়টার্স
Published : 8 July 2017, 01:58 PM
Updated : 8 July 2017, 02:17 PM

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ‘সম্মানের’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জার্মানির হামবুর্গে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির ২০টি দেশের সম্মেলন জি-২০।

দুইদিন ব্যাপী ওই সম্মেলনের প্রথমদিন শুক্রবার প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও পুতিন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনার পাশাপশি দুই নেতা দীর্ঘসময় ধরে সিরিয়া ও ইউক্রেইনের গৃহযুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন বলেও জানান টিলারসন। 

জার্মানির হামবুর্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

যদিও উভয় নেতাই অনুবাদকের সাহায্যে পরষ্পরের সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফটোসেশনের পর বৈঠক সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি এবং আমার মনে হয় আমাদের আলোচনা খুব ভালোভাবে চলছে।”

“আমাদের মধ্যে খুব, খুবই ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা রাশিয়ার জন্য, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এবং উদ্বিগ্ন সকলের জন্য ইতিবাচক অনেক কিছু করার কথা ভাবছি।”

পুতিন বলেন, “আমি আপনার সঙ্গে ফোনে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। তবে শুধু ফোনালাপ কখনোই যথেষ্ঠ নয়।”

“আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই খুশি, জনাব প্রেসিডেন্ট।”

“দুই নেতার বৈঠক ধারণার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলে এবং এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কক্ষে প্রবেশ করে তাদের বৈঠক শেষ করার আহ্বান জানান,” বলেন টিলারসন।

এরপর দুই নেতা সম্মেলনে আসা অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প ও পুতিন পাশাপাশি বসে ডিনারে অংশ নিয়েছেন।

জার্মানির হামবুর্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক কেমন হবে তা নিয়ে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক বরাবরই শীতল। এদিকে ট্রাম্পের রাশিয়া নীতি এখনও পরিষ্কার না।

যদিও নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত, ইউক্রেইন ও সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার চাপ ছিল ট্রাম্পের উপর।