শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়েমেনে নিযুক্ত ডব্লিউএইচও-র প্রতিনিধি নেভিও জাগারিয়া এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাগারিয়া এই প্রাদুর্ভাব রুখতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে আরও সাহায্য চেয়েছেন।
গত ২৭ মাস ধরে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ও তাদের সমর্থিত ইয়েমেনি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
যুদ্ধের কারণে খাদ্য এবং পানি সংকটের পাশাপাশি ভেঙে পড়া পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা কলেরা মহামারীর উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইয়েমেনে দুই লাখ ৪৬ হাজার কলেরা আক্রান্তের সন্ধান পেয়েছে বলে জাগারিয়া জানিয়েছেন।
এর আগে চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, পুরো দুর্যোগের শুধু অর্ধেক চিত্রই তাদের জানা আছে।
প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রুখতে দুই মাস আগে তাদের গ্রহণ করা ব্যাপক জরুরি পদক্ষেপের কারণে চলতি সপ্তাহে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় প্রাদুর্ভাব আরও ছড়িয়ে পড়া রুখতে চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও প্যারামেডিকদের জরুরি ‘অর্থ সহায়তা’ দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ডব্লিউএইচও কলেরা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ শয্যার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করছে, যেগুলোতে অন্তত ১৪জন স্বাস্থ্যকর্মী দিনের বিভিন্ন সময়ে কাজ করছে। এভাবে দেশটিতে অন্তত পাঁচ হাজার শয্যার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে ডব্লিউএইচও।