ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর: কঠিন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আদালতের আদেশে আংশিক কার্যকর হওয়ায় ছয় মুসলিম দেশের নাগরিক এবং সব দেশের শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ কঠিন হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2017, 05:03 AM
Updated : 30 June 2017, 05:04 AM

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নতুন এ নীতি কার্যকর হচ্ছে।

এ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে সম্পর্কিত নয় এমন ব্যক্তিদের ভিসা দেয়া হবে না, কিংবা প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।

নির্দেশনায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলতে বাবা-মা, স্বামী অথবা স্ত্রী, সন্তান, মেয়ের স্বামী বা ছেলের স্ত্রী এবং ভাইবোনকে বোঝানো হয়েছে। দাদা-দাদি, নানা-নানি, খালা-ফুপু, মামা-চাচা, ভাগিনা-ভাগিনি, ভাতিজা-ভাতিজি অর্থাৎ বৃহৎ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা এর আওতায় পড়বে না।

যে ছয়টি দেশের নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হল ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

তবে এসব দেশের নাগরিক যাদের আগে থেকেই বৈধ ভিসা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে না।

দ্বৈত নাগরিকরা যদি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তবে তাদের প্রবেশেও বাধা দেয়া হবে না।

এছাড়া ব্যবসায়িক বা শিক্ষাগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন নির্দেশনার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে হোয়াইট হাউজের আবেদন মঞ্জুর করে, যেখানে ঘনিষ্ঠ নয় এমন আত্মীয়দের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা কঠোর করার নীতি ৯০ দিনের জন্য অনুমোদিত হয়।

শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞায়ও সায় দেন বিচারকরা।

বিচারকদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এ রুলিং ‘সরকারের সব শাখার ক্ষমতার পার্থক্য পুনঃস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’।

অন্যদিকে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ইমিগ্রান্টস রাইটস প্রজেক্টের পরিচালক ওমর জাদওয়াত বলেন, আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া উচিত।

আর ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেন, নতুন নির্দেশনার কারণে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হবে, নিরপরাধ মানুষ আরও বিপদে পড়বে।

“নতুন নীতিতে এ ধরণের সবাইকে কঠোর যাচাইয়ের মুখে ফেলা হচ্ছে,” বলেন তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিয়মটি বাস্তবায়ন শুরুর কিছু সময় আগে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য এক ফেডারেল বিচারকের কাছে নতুন এ নিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে।

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আইনী লড়াইয়ের এখানেই শেষ হচ্ছে না; অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।