মঙ্গলবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্বাংশের শহরতলী এলাকার উপকূল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা।
শহরতলীর তাজৌরা এলাকার বাসিন্দারা জানান, সোমবার থেকে লাশগুলো উপকূলে ভেসে আসতে শুরু করে। কয়েকটি লাশের কিছু অংশ নেড়ি কুকুরে খেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা। লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার রাতে ইতালীয় নৌবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চলার সময় ভূমধ্যসাগরে তিন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়, তবে আরো কয়েক হাজার জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ফেইসবুকে সংস্থাটি বলেছে, “সকল প্রচেষ্টা সত্বেও ডুবন্ত একটি রাবারের নৌকার তিন আরোহী মারা গেছেন।”
চলতি বছর এখনও পর্যন্ত যত সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে পৌঁছেছেন তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এক্ষেত্রে গ্রিসের পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি ব্যস্ত রুট বন্ধ হওয়া অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের একটি চুক্তির আলোকে রুটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে এর ফলে লিবিয়া উপকূল হয়ে ভূমধ্যসাগরের জলপথ পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত প্রায় ৭২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়ার বিপজ্জনক পথে ইতালিতে উপস্থিত হয়েছে। গত বছর এই পথে যত অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছিল এই সংখ্যা তার চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি।
সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় যে বিশৃঙ্খলা চলছে তার সুযোগ নিয়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলো এই জলপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাঠানোর লাভজনক ব্যবসা খুলে বসেছে। তারা প্রধানত আফ্রিকার সাহার মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর অধিবাসী ও বাংলাদেশীদের লগবগে রাবারের নৌকায় বোঝাই করে বিপজ্জনক এ পথে ঠেলে দিচ্ছে।