বিবিসি জানিয়েছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি হেলিকপ্টার নিয়ে রাজধানী কারাকাসে এই ঘটনা ঘটান।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ভিডিওতে হেলিকপ্টারটিকে শহরের ওপর দিয়ে চক্কর কাটতে দেখা যায়। এর পরপরই বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
তবে সেখানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে মাদুরো সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
৫৪ বছর বয়সী সোশালিস্ট নেতা নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগ দাবিতে প্রায় প্রতিদিনিই বিক্ষোভ হচ্ছে কারাকাসে। মাদুরোকে তার নিজের দলের একটি অংশের বিরোধিতাও সামাল দিতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জন সেখানে রাজনৈতিক সহিসংতায় নিহত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, হেলিকপ্টারের ওই হামলাকারী সুপ্রিম কোর্টের দিকে গুলি ছোড়ে এবং গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
“আমি পুরো সশস্ত্র বাহিনীকে শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত করেছি। আজ হোক, কাল হোক, ওই হেলিকপ্টার এবং যারা এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, তাদের আমরা ধরব।”
ইনস্টাগ্রামে আসা ভিডিওতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেকে অস্কার পেরেজ হিসেবে পরিচয় দেন। তার পেছনে সামরিক পোশাকে থাকা মুখোশধারী কয়েকজনকে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভেনেজুয়েলাবাসীকে ‘স্বৈরশাসনের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে থেকে একজোট হয়েছি। আমরা ভারসাম্য চাই এবং এই ক্রিমিনাল সরকারের হাত থেকে মুক্তি চাই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা জাতীয়তাবাদী এবং দেশপ্রেমিক।”
তিনি বলেন, তাদের এই লড়াই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, বরং স্বৈরাচারী সরকারের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে।
গত সোমবারও তিনি পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা বলেন, যারা মার্কিন অভিযানের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছিল বলে তার ভাষ্য।
ভেনেজুয়েলা এ ধরনের সব চেষ্টা প্রতিরোধ করবে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ার করেছেন মাদুরো।