আয় বাড়ছে রানি এলিজাবেথের

রাজকীয় সম্পদ (ক্রাউন এসটেট) থেকে মুনাফা দুই কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিবজাবেথের আয়ও বাড়ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2017, 11:32 AM
Updated : 27 June 2017, 11:32 AM

২০১৮-১৯ সালে রানি বর্তমানের চেয়ে ৮ শতাংশ অর্থাৎ ৬০ লাখ পাউন্ড বেশি অর্থ পাবেন বলে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

রাজ প্রাসাদের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, আনুষ্ঠানিক সফর ও প্রাসাদ দেখভালের জন্য ‌‘সভরিন গ্র্যান্ট’ নামে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সরকারি কোষাগার থেকে রানি এবং রাজ পরিবারের খরচ বাবদ যে অর্থ দেওয়া হয় সেটিই ‘সভরিন গ্র্যান্ট’ নামে পরিচিত। 

গত বছর রানির সাকুল্যে খরচ ২০ লাখথেকে চার কোটি ২০ লাখপাউন্ডের মতো বেড়েছে।

২০১৬-১৭ বছরে রানি ও রাজ পরিবারের ভ্রমণ খরচ পাঁচ লাখ পাউন্ড বেড়ে হয়৪৫ লাখ পাউন্ড। এছাড়া রাজকীয় ট্রেনে ভ্রমণে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ পাউন্ড, উন্ডসর ক্যাসলের দরজা পরিবর্তনে ১২ লাখ পাউন্ড ব্যয় হয়।

এছাড়া ইতালি, রোমানিয়া এবং অস্ট্রিয়া ভ্রমণে প্রিন্স চার্লস তার স্ত্রী ক্যামিলিয়ার সরকারি উড়োজাহাজ ‘ক্যাম ফোর্স ওয়ান’ ব্যবহার করায় ব্যয় হয় এক লাখ ৫৪ হাজার পাউন্ড। 

বিপরীতে ওই বছরে রাজকীয় সম্পত্তি থেকে আয় দুই কোটি ৪৭ লাখ পাউন্ডে বেড়ে হয় ৩২ কোটি ৮৮ লাখ পাউন্ড।

রিপাবলিক নামের একটি সংগঠন রাজকীয় ব্যয়ের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য খরচ যোগ করার পর এই ব্যয় বছরে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের কাছাকাছি দাঁড়ায়।

রাজপরিবারের উন্নত জীবনযাপনের জন্য এটা করদাতাদের জন্য ‘বড় ব্যয়’ বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী গ্রাহাম স্মিথ।

ক্রাউন এসটেট কি?

মূলত এটি সম্পদের স্বাধীন ব্যবসা এবং ব্রিটেনের সবচেয়ে বড়। এসটেটের ব্যবসার খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাসিক সম্পত্তি, বাণিজ্যিক অফিস, দোকান, অন্যান্য ব্যবসা আর পার্ক।

১৭৬০ সালে এই এসটেটের যাত্রা শুরু। সেময়ই সিদ্ধান্ত হয় এসটেটের বাড়তি রাজস্ব প্রথমে যাবে সরকারি কোষাগারে, পরে সেখান থেকে একটি অংশ প্রতিবছর খরচের জন্য দেওয়া হবে রাজ পরিবারকে।

প্রতিবছর উদ্বৃত্ত মুনাফার ১৫ শতাংশ রাজ পরিবারের ব্যয়ের জন্য দেওয়া হবে, যা সভরিন গ্র্যান্ট নামে পরিচিত।