এনডিটিভি জানায়, রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের মথুরাগামী একটি ট্রেনে শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে ‘খুবই বেদনাদায়ক’ উল্লেখ করে ভারত সরকার এ ধরণের হামলা আর সহ্য করবে না বলে রোববার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইউনিয়ন আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং তদন্তে সহায়তার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“কি বহন করছে এ কারণে কাউকে গণপিটুনির শিকার হতে হলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সরকার এটা সহ্য করবে না।”
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “গোরক্ষার নামে নৃশংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার পরিবর্তে বরং আমাকে মারুন।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ট্রেনের আসন নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত। এক পর্যায়ে ১৫ থেকে ২০ জন ছুরি বের করে জুনাইদ ও তার ভাইদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করতে থাকে এবং তিন সহদোরের একজনের হাতে থাকা একটি প্যাকেট দেখিয়ে সেটিতে গরুর মাংস আছে বলে দাবি করে।
ছুরিকাঘাতে জুনাইদের মৃত্যু হয়। তার ভাই শাকির গলা, বুক ও হাতে আঘাত পেয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় হরিয়ানার বাসিন্দা ৩৫ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা অজয় কুমার।
মোদীর আমলে ভারতে গোরক্ষার নামে হামলার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। দেশটির অনেক রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ।