যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কলেরা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দুই লাখ অতিক্রম করেছে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খবর বিবিসির।
কলেরায় এ পর্যন্ত এক হাজার তিনশরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কলেরা আরো ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তারা তাদের পক্ষে সম্ভাব্য সবকিছু করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা দুটি।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, “আমরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক কলেরা প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলা করছি। মাত্র দুই মাসের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির প্রায় সব বিভাগে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে।”
প্রতিদিন আরো পাঁচ হাজার জন নতুন করে কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
গত দুই বছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী সমর্থিত সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে। রাজধানী সানাসহ দেশটির অধিকাংশ স্থান হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
লড়াইয়ের কারণে দেশটির স্বাস্থ্য, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
আহত ও অসুস্থ লোকজনে হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে। তীব্র খাদ্যসঙ্কটের কারণে ব্যাপক পুষ্টিহীনতা দেখা দিয়েছে। এতে বিশেষভাবে শিশুরাসহ লোকজন সহজেই কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি পরিষ্কার রাখা ও মজুদ রাখার পদ্ধতি সম্পর্কে লোকজনকে সজাগ করতে র্যাপিড-রেসপন্স টিম নিয়োগ দিয়েছে, কিন্তু পরিষ্কার পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত ইয়েমেনের দুই কোটি ২৮ লাখ মানুষের মধ্যে এক কোটি ৮৮ লাখ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তা দরকার। এদের মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।