পাকিস্তানে তেলের লরিতে আগুন লেগে নিহত ১৪৬

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর শহরে একটি তেলের লরিতে লাগা আগুনে পুড়ে অন্তত ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2017, 05:26 AM
Updated : 25 June 2017, 05:51 PM

রোববার সকালে বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর শরকিয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বাহাওয়ালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রানা মোহাম্মদ সালিম আবদুলের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন জানিয়েছে, শতাধিক লোক এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে।

রাজ্য সরকারের মুখপাত্র মালিক মোহাম্মদ আহমেদ খানের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, লরিটির টায়ার ফেটে যাওয়ার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাহাওয়ালপুর শহরের বাইরে মহাসড়কের একটি মোড়ে সেটি উল্টে যায়।

উল্টে যাওয়া লরিটি থেকে তেল চুইয়ে পড়া শুরু হলে সেই তেল সংগ্রহ করতে সেখানে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ জড়ো হয়। এরই মধ্যে উল্টে যাওয়ার ৪৫ মিনিটের মাথায় কোনোভাবে আগুন লেগে ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটে।

নিহতদের অধিকাংশই ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দা, বাকিরা মহাসড়ক দিয়ে যাতায়তরত পথচারী ও গাড়ির আরোহী। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয় রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উল্টে পড়া লরিটির কাছে কয়েকজন ধূমপান করছিল, সেখান থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

ছবি: রয়টার্স

বাহাওয়ালপুর শহরের মধ্যখানে পাকা পুলের কাছে ঘটা এ ঘটনায় ৭৫টি মোটরসাইকেল ও চারটি গাড়িসহ বহু যানবাহন পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে লরির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডন জানিয়েছে, আহতদের জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি বাহওয়াল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা দিচ্ছে।

আহতদের অধিকাংশের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রেসক্যু ১১২২ এর মহাপরিচালক ডা. রিজিওয়ান নাসির। এ কারণে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিহতদের শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়ায় ডিএনএ নমুনা ছাড়া তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী সূত্রগুলো।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও মহাসড়কটি বন্ধ রয়েছে। নিহত কয়েকজনের দেহ বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যানবাহনের অংশে সঙ্গে জুড়ে আছে বলে উদ্ধার কাজ শেষ হতে সময় লাগছে।

বাহাওয়ালপুর ও লাহোরের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান এই সড়কটি বন্ধ থাকায় দুটি বিকল্প পথ চালু করেছে পুলিশ। সোমবার পাকিস্তানের অনেক এলাকায় ঈদুল ফিতর পালন করা হবে। ঈদের আগে মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ি ও লোজনের চাপ সামাল দিতেই বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।