ইসলামিক গোষ্ঠী বিশেষজ্ঞরা বাগদাদির সুষ্পষ্ট কোনও উত্তরসূরি দেখতে না পেলেও তারা আয়াদ আল ওবায়িদি এবং আয়াদ আল জুমাইলিকেই সম্ভাব্য নেতা বলে মনে করছেন। যদিও সম্ভবত তাদের কেউই বাগদাদির মতো ‘খলিফা’ পদবী পাবেন না।
সিরিয়ায় বিমান হামলায় বাগদাদি নিহত হয়েছেন বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। ওদিকে, ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা এক ঊর্ধ্বতন পার্লামেন্ট সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার বলেছে, বাগদাদি নিহত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১শত ভাগ।
তবে ওই এলাকায় লড়াই করে যাওয়া সশস্ত্র দলগুলো এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বাগদাদি মারা যাওয়ার কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই। আঞ্চলিক কর্মকর্তারও তার মারা যাওয়ার খবর নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
আইএস এর সম্ভাব্য নেতা আয়াদ আল ওবাইদির বয়স ৫০ এর কোঠায়। তিনি যুদ্ধমন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন। আর জুমাইলির বয়স ৪০ এর কোঠায়। তিনি আমনিয়া নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হিসাবে কাজ করছেন।
এপ্রিলে ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, জুমাইলি নিহত হয়েছে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন আগ্রসনের পর দুইজনই ইরাকে ২০০৩ সালের সুন্নি সালাফি বিদ্রোহী তৎপরতায় যোগ দেন। তারা ছিলেন বাগদাদির শীর্ষ সহযোগী।
২০১৬ সালের বিমান হামলায় বাগদাদির উপপ্রধান আবু আলি আল-আনবারি এবং তার চেচেন যুদ্ধমন্ত্রী আবু ওমর আল শিশানিসহ সিরীয় প্রধান প্রচারক আবু মোহাম্মদ আল আদনানি নিহত হওয়ার পর থেকেই ওই দুইজন তার শীর্ষ সহযোগী হন।