বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার বাল্টিক সাগরের উপরে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার গণমাধ্যম।
ওই সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু দেশটির ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে যাচ্ছিলেন।
নেটো জানিয়েছে, শনাক্ত করতে না পেরে তারা রাশিয়ায় তিনটি বিমানকে অনুসরণ করেছিল। তবে তাদের জঙ্গি বিমানকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে নেটো।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, নেটোর একটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান শোইগুকে বহনকারী উড়োজাহাজের কাছে চলে এসেছিল।
শোইগুকে বহনকারী ওই উড়োজাহাজে এসব বার্তা সংস্থার সাংবাদিক প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
তারা জানান, ওই সময় শোইগুর উড়োজাহাজটিকে পাহারারত একটি রুশ এসইউ-২৭ জঙ্গি বিমান এগিয়ে এসে বিমানটির পাখায় স্থাপন করা অস্ত্র এফ-১৬ জঙ্গি বিমানটির পাইলটকে প্রদর্শন করে।
এরপর এফ-১৬ জঙ্গি বিমানটি সেখান থেকে সরে যায়, ঘটনার পর সম্প্রচার করা এক ফুটেজে এমনটি দেখা গেছে।
পরে এক বিবৃতিতে নেটোর এক কর্মকর্তা বলেছেন, “নেটো জোট নিশ্চিত করছে, আজ (বুধবার) সকালে বাল্টিক সাগরের আকাশে রাশিয়ার তিনটি বিমানকে (যেগুলোর মধ্যে দুটি জঙ্গি বিমান) অনুসরণ করা হয়েছে।”
রুশ বিমানগুলো নিজেদের পরিচয় না দেওয়ায় এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের বার্তায় সাড়া না দেওয়ায় প্রচলিত নীতি অনুযায়ী নেটোর জঙ্গি বিমানগুলো তাদের শনাক্ত করতে ছুটে যায় বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
“রাশিয়ার উড়োজাহাজটিতে কে ছিলেন সে বিষয়ে নেটোর কাছে কোনো তথ্য ছিল না,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার পাইলটের আচরণ ‘নিরাপদ ও পেশাদার’ ছিলে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তবে রাশিয়ার জঙ্গি বিমান নেটো জঙ্গি বিমানকে ‘তাড়িয়ে দেয়নি’ বলে দাবি করা হয়েছে।
বাল্টিক উপকূলের কালিনিনগ্রাদ রাশিয়ার ব্যাপকভাবে সামরিকায়িত একটি ছিটমহল।
গত কয়েক বছরে বাল্টিক সাগরের আকাশে নেটো জোট ও রাশিয়ার মধ্যে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ‘আক্রমণাত্মক হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ করেছে পক্ষ দুটি।