সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার কারাগার থেকে ফেরা মার্কিন ছাত্র ওটো ওয়ার্মবিয়ারের মৃত্যুর পর জানানো প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবারের এক টুইটে ট্রাম্প একথা বলেন।
তিনি বলেন, “যদিও উত্তর কোরিয়া বিষয়টিতে সাহায্যের জন্য প্রেসিডেন্ট শি ও চীনের উদ্যোগকে আমি দারুণভাবে স্বাগত জানাচ্ছি, কিন্তু এটি কাজ করেনি। অন্তত আমি জানি চীন চেষ্টা করেছে!”
বিশ্বের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র চীন। ট্রাম্প আশা করেছিলেন চীন তার প্রভাব খাটিয়ে পরমাণু প্রকল্পের লাগাম টানতে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করাতে পারবে।
এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে দুই নেতাই ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপণে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তারপর থেকে বেশ কয়েকবারই চীনের প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে টুইট করেন ট্রাম্প।
তবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্পে ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনও কৌশলে গ্রহণ করবে কিনা বা চীন বিষয়ে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আসবে কিনা সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি ট্রাম্প।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
ট্রাম্পের টুইটে উত্তর কোরিয়া বিষয়ে তার হতাশাই ফুটে উঠেছে বলে মত কূটনীতিকদের।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার হিল বলেন, “আমার মনে হয় এগুলো প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) হতাশার ইঙ্গিত।”
“তিনি সম্ভবত অন্যদের বলতে চাইছেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন এটা (চীনকে দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে চাপ দেওয়ার কৌশল) আর কাজ করছে না।খুব সম্ভবত তিনি বলতে চাইছেন, তিনি অন্তত চেষ্টা করেছেন কিন্তু অন্যরা সেটাও করেনি। তিনি নিজের পক্ষে যুক্তি দিতে চেষ্টা করছেন।”
ওদিকে, মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা উপগ্রহের তথ্যানুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে একটি টানেলের প্রবেশপথে নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে তারা নতুন করে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বুধবার ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।